বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানা। —নিজস্ব চিত্র।
বাবার প্রভাব খাটিয়ে কল্যাণীর এমসে চাকরির অভিযোগে আবারও সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানা। সোমবার বাঁকুড়ার কানকাটা এলাকায় নীলাদ্রির বাড়িতে গিয়ে মৈত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন চার জন সিআইডি আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এক মহিলা আধিকারিকও।
সোমবার মৈত্রীকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। তবে মৈত্রীর কাছে কী কী জানতে চেয়েছেন সিআইডি আধিকারিকেরা, সে নিয়ে বিধায়ক বা তাঁর মেয়ের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিধায়ককে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। সিআইডির তরফেও এ নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। যদিও পরে মৈত্রীর আইনজীবী শুভাশিস দে-র দাবি, “জিজ্ঞাসাবাদ-পর্বে তদন্তকারীদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন মৈত্রী দানা।’’
সোমবার বেলা ১টা নাগাদ বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিধায়কের বাড়িতে হাজির এক মহিলা-সহ সিআইডির চার আধিকারিক। সূত্রের খবর, মৈত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সারা ক্ষণ তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা এবং আইনজীবী শুভাশিস দে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন তদন্তকারীরা। গোটা জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন তাঁরা।
নিলাদ্রীর পরিবারের ঘনিষ্ঠদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় বাড়িতে ছিলেন না বিধায়ক। মৈত্রীর আইনজীবী বলেন, ‘‘আজ (সোমবার) তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এখানে এসেছিলেন। এর আগের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসা তিন-চারটি প্রশ্নের সবিস্তার জানতে চান তাঁরা। ঠিক কী কী প্রশ্ন করা হয়েছে, তা আমি জানি না। তদন্তকারীদের পুরোপুরি সাহায্য করেছেন আমার মক্কেল। আশা করি তদন্তকারীরা তাতে সন্তুষ্ট।’’
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল কল্যাণী এইমসের নার্সিং কলেজে ডেটা এন্ট্রি পদে যোগ দেন মৈত্রী। ওই চাকরিটি তিনি প্রভাব খাটিয়ে পেয়েছেন বলে দাবি করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অভিযোগ জানান দলেরই এক নেতা। এর পর মুর্শিদাবাদের চাকরিপ্রার্থী এক যুবক কল্যাণী এইমসে ওই নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে থানার দ্বারস্থ হলে গোটা ঘটনার তদন্তভার নিজেদের কাঁধে তুলে নেয় সিআইডি।
এই ঘটনার তদন্তে সিআইডির চার সদস্যের একটি দল গত ১৫ জুলাই বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সূত্রের দাবি, ওই জিজ্ঞাসাবাদের সময় মৈত্রীর কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছিল। সে কারণেই তাঁকে দ্বিতীয় বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy