গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার নিয়ে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা জানাতে রাজ্যকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চের নির্দেশ, মঙ্গলবার ওই বিষয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে হবে। মঙ্গলবারই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
প্রধান বিচারপতি সোমবার শুনানি-পর্বে সরকারি কৌঁসুলিকে প্রশ্ন করেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি থেকে লালবাতি খুলে নিয়ে ৫০০ টাকা জরিমানা করলেই কি রাজ্যের দ্বায়িত্ব শেষ হয়ে যায়?’’ সেই সঙ্গে বিস্ময় প্রকাশ করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কোনও রাজনৈতিক দলের এক জন জেলা সভাপতি কি লালবাতি ব্যবহার করতে পারেন?’’
লালবাতি লাগানো গাড়িতে চড়েন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কোনও মন্ত্রীর গাড়িতেও লালবাতি দেখা যায় না। কিন্তু আভিযোগ লালবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে বীরভূমের নানা এলাকায় চষে বেড়াতে দেখা যায় জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। কেন তৃণমূলের ওই নেতা লালবাতি ব্যবহার করছেন, এ নিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
ওই মামলায় মঙ্গলবার অনুব্রতর আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ জানান, তাঁর মক্কেল এখন লালবাতির গাড়ি ব্যবহার করছেন না। আগে ডব্লিউবিএসআরডিএ চেয়ারম্যান থাকার জন্য ব্যবহার করতেন। এখন লালবাতি ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত ১৯ জুলাইয়ের সেই শুনানি-পর্বে রাজ্যের কাছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানতে চেয়েছিল, অনুব্রতের লালবাতি গাড়ি ব্যবহারের ঘটনা, ট্র্যাফিক আইন ভাঙা কি না।
সোমবার প্রধান বিচারপতিকে রাজ্যের আইনজীবী জানান, লালবাতি ব্যবহার করে ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘন করার দায়ে ৫০০ টাকা জরিমানা করার বিধি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজ্যের রিপোর্ট ‘সন্তোষজনক নয়’ বলে জানান প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘কারা লালবাতি ব্যবহার করতে পারবেন তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ এবং কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি রয়েছে। এই ঘটনার মাধ্যমে বৃহত্তর যে আশঙ্কার উদ্রেক হয়েছে। আমরা সেটা নিয়ে চিন্তিত।’ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলবের পাশাপাশি গাড়ির কাঁচ কত শতাংশ পর্যন্ত কালো থাকতে পারে বা তার ঘনত্ব কত থাকা উচিত তা নিয়ে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy