প্রতিবাদ মিছিলে শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।
ডাক্তারদের দশ দফা দাবি নিয়ে এ বার বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডেকে আলোচনা চাইলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার রেড রোডে যখন রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল চলছিল ঠিক সেই সময় কার্নিভাল বর্জনের ডাক দিয়ে কলেজ স্ট্রিট থেকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যার পর্যন্ত মিছিলে হাঁটলেন তিনি। জাতীয় পতাকার সঙ্গে হাতে মশাল নিয়ে এই মিছিলে আরজি করের ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন বিজেপি নেতা তাপস রায় থেকে শুরু করে অর্জুন সিংহেরা। মিছিল শেষে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে এ বিষয়ে আলোচনা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকতে বললেন শুভেন্দুরা।
মিছিল শেষে সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যারের অস্থায়ী মঞ্চ থেকে থেকে মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন এই বিজেপি নেতা। নিজের বক্তৃতায় জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বিশেষ অধিবেশন ডাকতে বলেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাই জুনিয়র ডাক্তারেরা যে সব দাবি করেছেন, তা রাজ্য সরকার পূরণ করুক। কারণ তাদের দাবিগুলি যুক্ত সঙ্গত।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকুন। এ নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হোক। আমরাও সেই আলোচনায় অংশগ্রহণ করব।’’ তাঁর দাবি, এ ক্ষেত্রে বিরোধীদের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছে না মমতার সরকার।
প্রসঙ্গত, ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর উত্তাল হয় রাজ্য। সেই ঘটনার জেরে ধর্ষণ করে খুনের অপরাধে ফাঁসির শাস্তি দিতে আইন তৈরির করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সে সময় সেপ্টেম্বর মাসে দু’দিনের বিশেষ অধিবেশন ডেকে নতুন আইন পাশ করিয়েছিলেন। তবে রাজভবনের অনুমোদন না দিয়ে সেই বিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস পাঠিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। তাই সেই অধিবেশন ডেকে রাজ্য সরকারের বিশেষ লাভ হয়নি বলেই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির কারবারিরা।
সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর অধিবেশন ডাকা নিয়েও কটাক্ষ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ভারতবর্ষের কোনও আইনসভার অধিবেশন ডাকতে গেলে, সেই দায়িত্ব থাকে স্পিকারের। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী স্পিকারকে এড়িয়ে নিজেই অধিবেশন ডাকার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন।’’ আর এ বার নিজেই মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিশেষ অধিবেশন ডেকে চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার দাবি জানালেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy