প্রতীকী ছবি।
বিক্ষোভ, প্রতিবাদ অব্যাহত। এ বার ‘কাটমানি’ নিয়ে মারপিট, শাসানি দেওয়ার অভিযোগ উঠতে শুরু করল। ‘আক্রমণ’ শানানো হচ্ছে ‘সোশ্যাল মিডিয়া’ ব্যবহার করেও।
মুর্শিদাবাদের ডোমকলে মঙ্গলবার এক চায়ের দোকান মারপিটের ঘটনাস্থল। সেখানে এক আড্ডায় ডোমকল পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে তোলা আদায়ের ‘কাহিনি’ নিয়ে কথা বলছিলেন স্থানীয় যুবক খোসবর মণ্ডল। অভিযোগ, ছেলের নামে ‘কুকথা’ শুনে খোসবরের দিকে তেড়ে যান কাউন্সিলরের বাবা তৈয়ব শেখ। শুরু হয় ‘মারধর’। গুরুতর আহত খোসবরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে মারধর বা তোলাবাজির অভিযোগ মানেনি মাফিজুল শিবির।
পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে ‘কাটমানি’ ফেরতের দাবিতে বাইরে থেকে লোকজন এনে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি গিয়ে বিক্ষোভ, শাসানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। আউশগ্রাম ২ ব্লকের সাগরপুতুল গ্রামে এ দিন ওই বিক্ষোভের মাঝে মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয়েছে বলেও দাবি তৃণমূলের। অভিযোগ মানেনি বিজেপি। আউশগ্রাম ১ ব্লকেও ‘কাটমানি’ ফেরত চেয়ে বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। বিডিও চিত্তজিৎ বসু জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য পুলিশকে জানানো হয়েছে।
‘কাটমানি’ ফেরতের দাবিতে এ দিন বীরভূমের পাড়ুই পঞ্চায়েতের লেবরা গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতি শেখ আতাউল্লাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। সূত্রের দাবি, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় আতাউল্লার। আতাউল্লা ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ মানেননি।
নেতাদের বিরুদ্ধে ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ করে টাকা ফেরত চেয়ে পোস্টার-ফ্লেক্স পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, মেদিনীপুর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ড, বর্ধমান শহরের ভাতছালা এলাকায়। ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলইয়ের দাবি, ‘‘বিজেপি নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে।’’ তবে বিজেপির বক্তব্য, তারা নয়, সরব হয়েছে জনতা।
পূর্ব মেদিনীপুরে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে ‘ভাইরাল’ হয়েছে জেলা তৃণমূলের কয়েকজন জনপ্রতিনিধির প্রাসাদোপম বাড়ির ছবি। কোনও ছবি ফেসবুকে বিজেপির ‘পেজ’-এ ‘শেয়ার’ করা হয়েছে, আবার কোনওটি ঘুরছে ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ ‘গ্রুপ’-এ। চণ্ডীপুরের বিধায়ক অমিয় ভট্টাচার্যের বাড়ির ছবির সঙ্গে যেমন অভিযোগ করা হয়েছে, ‘কাটমানির ফসল’। ‘ভাইরাল’ হয়েছে নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের বাড়িও। অমিয়বাবু বলেছেন, ‘‘প্রমাণ ছাড়া, বিজেপি যে ভাবে মিথ্যাচার করছে, মানুষ তা ক্ষমা করবেন না।’’ আর সুফিয়ানের দাবি, ‘‘মাছের ব্যবসা, ট্রলার থেকেই আয় করেছি। বাড়ি তৈরির জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণও নিয়েছি। অপপ্রচার করা হচ্ছে।’’
‘কাটমানি’ সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে মালদহ জেলা তৃণমূল ‘টোল-ফ্রি’ নম্বর চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে। ভাবনা চলছে জেলা কার্যালয়ে একটি অভিযোগ-বাক্স রাখার ব্যাপারেও।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy