রোদ থাকলেও হিম হাওয়া বইছে দিনভর। তবু কেন ঘাম ঝরছে বিমল গুরুঙ্গের? সম্প্রতি হাইকোর্টে এক মামলায় রাজ্য জানিয়েছে, পাহাড়ের চার পুরসভায় তারা ভোটপর্ব শেষ করবে মে মাসের মধ্যে। তার পর থেকেই তেতে উঠছে পাহাড়ের রাজনীতি। আর ছুটছেন গুরুঙ্গ। প্রচার-পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে।
মোর্চা প্রধানের এই দৌড়ের কথা জানে শাসকদলও। তাই প্রতিযোগিতা এক ধাপ বাড়িয়ে দিতে আজ, রবিবার পাহাড়ে পৌঁছনোর কথা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের। টানা চার দিন পাহাড়ে থেকে তাঁর দার্জিলিং, কার্শিয়াং, মিরিকে সাংগঠনিক প্রচারসভা করার কথা। আর ২৮ মার্চ দার্জিলিঙে যাওয়ার কথা রয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর সম্ভাব্য ৩ দিনের পাহাড় সফরে মিরিক মহকুমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা তো থাকছেই। তা ছাড়া কয়েকটি জেলা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকও হতে পারে। এ সবের আগে শনিবারই তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রচুর মোর্চা সমর্থক। এই কথা জানিয়ে তৃণমূলের পাহাড়ের মুখপাত্র বিন্নি শর্মার কথায়, ‘‘পাহাড় এখন বদলের জন্য তৈরি। সেটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।’’ কী ভাবে এই চাপ সামলাচ্ছেন গুরুঙ্গ? কালিম্পঙে ঘাঁটি গেড়ে পড়ে থাকা মোর্চা সভাপতি বেরিয়ে পড়ছেন সাতসকালেই। এমনিতে তাঁর সকাল সকাল ওঠা অভ্যাস। এখন সেই সময়টা তিনি লাগাচ্ছেন জনসংযোগে। কখনও স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলছেন। কখনও কোনও অনুষ্ঠানে ঢুকে কোলে তুলে আদর করছেন শিশুকে। কখনও আবার চায়ের কাপ হাতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে হরিজন বস্তিতে।
গুরুঙ্গ বলছেন, ‘‘পাহাড়ে ১৫টা বোর্ড কী জন্য হয়েছে, তা মানুষ বোঝেন। পুরভোটে সেই জবাবই দেবেন তাঁরা।’’ কালিম্পং এখন পাহাড়ে তাঁর দুর্বলতম এলাকা। সেখানে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচারে তিনি মিশিয়ে দিচ্ছেন গোর্খাল্যান্ডের দাবিকেও। আশা করছেন, ‘‘যত যাই হোক, পাহাড়বাসীরা আলাদা রাজ্যের স্বপ্ন থেকে সরবেন না।’’ অসময়ে রডোড্রেনডনে ভরপুর পাহাড়ে নিঃশব্দে শুনছে সকলের কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy