এসএসসি নিয়োগে ‘দুর্নীতি’ মামলায় তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করলেন বিকাশরঞ্জন। ফাইল চিত্র।
এসএসসি নিয়োগে ‘দুর্নীতি’ মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে তিনি ‘বলির পাঁঠা’ হয়েছেন, আসল ‘অনুপ্রেরণা’ তাঁর প্রাক্তন দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই দাবি করলেন সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। শুক্রবার আনন্দবাজার অনলাইনে ‘অ-জানা কথা’য় বিকাশের দাবি, ‘‘সারদা মামলায় বিচারব্যবস্থা সক্রিয় ছিল। তারা তাদের রায় দিয়েছে। সারদা মামলার সময় তৎকালীন বিচারপতি ঠাকুর বলেছিলেন, আমাদের এই তদন্তকারী সংস্থার উপর ভরসা রাখতেই হবে। এবং তাদেরও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে।’’ পরে পার্থের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে তাঁর সওয়াল প্রসঙ্গ আইনজীবী বিকাশ বলেন, ‘‘আমার লড়াই পার্থের বিরুদ্ধে নয়। এটা কাকতালীয়। সামগ্রিক লড়াইটা হয়েছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। পার্থ সেখানে একটা বলির পাঁঠা হয়ে গিয়েছেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এই দুর্নীতির (শিক্ষক) সামনে দেখা যাচ্ছে পার্থকে। তদন্ত এগোক। পার্থের সততা যদি আদৌ থেকে থাকে এবং তদন্তের মুখোমুখি হন, তা হলে সত্য বলে দেবেন।’’
বিকাশরঞ্জনের দাবি, তাঁদের কাছে তথ্য আছে যে নিয়োগ ক্ষেত্রে যে কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার নিজে ভোটের আগে এমন দুর্নীতি নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করেছেন। চাকরির বিনিময়ে যে টাকা ‘সংগ্রহ’ করা হয়েছে, তা পার্থের একার জন্য নয়। তৃণমূল দলের জন্য তোলা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘এগুলো সাধারণ বুদ্ধি খাটালে বোঝা যায়। এ জন্য রকেট সায়েন্স বুঝতে হবে না। পার্থ ছিলেন তৃণমূলের দু’নম্বর (দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলতে চেয়েছেন) লোক। তিনি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। মমতার পরেই পার্থ।’’ এর পর বিকাশ আরও বলেন, ‘‘এমন কোনও কাজ পার্থ মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা ছাড়া করতে পারেন না। কারণ, তিনি সরকারি দফতরের কোনও কিছু নিয়ে বলতে গেলে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়...।’’
বিকাশের দাবি, তৃণমূলের বাকি নেতারা নিজেদের বোধ-বুদ্ধি, চেতনা থেকে কাজ করেন না। সবেতেই ‘অনুপ্রেরণা’ পেলে কাজ করেন। হালকা হাসি হেসে তাঁর বক্তব্য, ‘‘তা হলে তাঁর অনুপ্রেরণা ছাড়া এই টাকা সংগ্রহ হয়েছে না কি? পাগল ছাড়া এ তথ্য কেউ বিশ্বাস করবে না।’’ বিকাশরঞ্জনের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তৃণমূলের মুখপাত্র তাপস রায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘সিপিএমের এই ধরনের কথাবার্তার জন্যই পশ্চিমবঙ্গ থেকে লোকসভা কিংবা বিধানসভা থেকে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। এ ধরনের কথা ওঁরা (সিপিএম নেতারা) যত বলবেন, ততই বাংলার মাটি থেকে ওরা মুছে যাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy