প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় আরও এক অভিযুক্ত জামিন পেলেন। বৃহস্পতিবার হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের মামলা থেকে জামিন দিয়েছে ইডির বিশেষ আদালত। এর আগে প্রাথমিক নিয়োগে তিনি ইডির মামলা থেকেও জামিন পেয়েছিলেন। ফলে এ বার জেল থেকে বেরোতে পারবেন শান্তনু। এই নিয়ে প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় মোট ছ’জন অভিযুক্ত জামিন পেলেন। বৃহস্পতিবার জামিন এবং মুক্তির কথা শুনে সংশোধনাগারের ভিতরেই কেঁদে ফেলেন শান্তনু।
আরও পড়ুন:
প্রাথমিক মামলায় নাম জড়ানোর পর ২০২৩ সালে শান্তনুকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পরে এই মামলায় সিবিআইও তাঁকে হেফাজতে নেয়। দুর্নীতিতে নাম ওঠার পর তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। প্রাথমিক মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের যে অডিয়ো হাতে পেয়েছে সিবিআই, তাতে শান্তনুর কণ্ঠস্বরও শোনা গিয়েছে বলে দাবি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই সংক্রান্ত চার্জশিটেও শান্তনুর নামে একাধিক অভিযোগ এনেছে। সেই চার্জশিটের প্রতিলিপি এবং অডিয়োর সিবিআইকৃত প্রতিলিপি আনন্দবাজার ডট কমের হাতে রয়েছে।
অডিয়োর সঙ্গে মেলানোর জন্য শান্তনুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছিল সিবিআই। তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। একাধিক বার সিবিআইয়ের মামলা থেকে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন শান্তনু। কেন্দ্রীয় সংস্থার পাল্টা যুক্তি ছিল, শান্তনু শাসকদলের সদস্য ছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক সংযোগ রয়েছে এবং তিনি প্রভাবশালী। জামিন পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। কিন্তু শান্তনুর আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলকে আর ‘প্রভাবশালী’ বলা যায় না।
শান্তনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে তিনি প্রচুর টাকা তুলেছেন। সিবিআইয়ের দাবি, হুগলি ডিপিএসসি-তে প্রভাব ছিল তাঁর। সেই প্রভাব খাটিয়ে অনেককে বেআইনি ভাবে চাকরিতে সুযোগ পাইয়ে দিয়েছেন। টাকা তুলে সুজয়কৃষ্ণকে দিতেন শান্তনু, জানিয়েছে সিবিআই।
প্রাথমিকের মামলায় এর আগে জামিন পেয়েছেন নীলাদ্রি দাস, তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ। অন্যতম অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্ত। গত ৭ মার্চ জামিন পান অয়ন শীলও। তবে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় তাঁর জেলমুক্তি হয়নি।