পানিহাটির পরবর্তী পুরপ্রধান কে হতে চলেছেন, তা জানা যাবে শুক্রবার। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় পানিহাটি পুরসভার সব কাউন্সিলরকে একটি বৈঠকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সেই বৈঠকেই পরবর্তী পুরপ্রধানের নাম চূড়়ান্ত হবে। এই বৈঠকে থাকবেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভায় শাসকদলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ।
বৃহস্পতিবার নির্মল জানান, পানিহাটির পরবর্তী পুরপ্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক সব কাউন্সিলরকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন তিনি। সকলের মতামত নিয়েই এগোনো হবে বলে জানান তিনি। বৈঠকে থাকার কথা মহকুমাশাসকেরও।
নাগরিক পরিষেবা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে পানিহাটির সদ্য প্রাক্তন পুরপ্রধান মলয় রায়ের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। স্থানীয় অমরাবতী মাঠের বড় অংশ আবাসন প্রকল্পের জন্য বিক্রির পরিকল্পনা সংক্রান্ত বিতর্কে হস্তক্ষেপ করতে হয় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে। প্রায় ৮৫ বিঘার ওই মাঠ অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। দলের কাউন্সিলরেরাই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি, পুরসভার ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে চাঁদা তোলার অভিযোগও ওঠে। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে বিধানসভা থেকে মলয়কে ফোন করেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁকে ইস্তফার নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই মলয়কে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
নানা টালবাহানার পর দলীয় নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসকের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান মলয়। সেটাই গৃহীত হয় সোমবার। মলয় জানিয়েছিলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে কাউন্সিলরদের বৈঠক ডেকে নতুন পুরপ্রধান নির্বাচন করা হবে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় কাউন্সিলর সোমনাথ দে-কে পানিহাটির পুরপ্রধান করা হতে পারে।