‘সেরা বাঙালি কালকের সেরা আজকে’-র মঞ্চে (বাঁ দিক থেকে) দীপ্তায়ন ঘোষ, শায়েরি সরকার, আর্শিয়া মুখোপাধ্যায়, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শাম্ভবী ঘোষ। জিডি বিড়লা সভাঘরে বৃহস্পতিবার। — নিজস্ব চিত্
অনুষ্ঠান শেষে গ্রুপ ফটো তোলার সময়ে ভারী সঙ্কটে পড়েছিলেন আলোকচিত্রীরা।
পাঁচ জন পুরস্কার বিজয়ীকে বেশি ক্লোজ-আপে ফ্রেমবন্দি করতে গিয়ে গলদঘর্ম দশা! খানিকটা লং শটে সবাইকে ঠিকঠাক ধরা গেল। বয়সে ও মাথায় আক্ষরিক অর্থেই হাঁটুসমান এমন পুঁচকে কৃতী বাঙালিও যে এই আসরে সম্মানিত হবেন, তা কে-ই বা আঁচ করেছিল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা। বাংলার টিভি জগতের নবীনতম হৃদস্পন্দন খুদে তারকা ‘ভুতু’ থেকে তরুণতম বাঙালি দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার— সকলেই এক বন্ধনীতে ধরা পড়লেন।
জিডি বিড়লা সভাঘরে এবিপি আনন্দ-আয়োজিত ‘সেরা বাঙালি কালকের সেরা আজকে’-স্বীকৃতির আসর। কাল, শনিবার এ বারের ‘সেরা বাঙালি’ পুরস্কার সন্ধ্যার আগে যেন আগামীর সেরা বাঙালিদের চিহ্নিত করা হল।
তবে খুব দূরের ‘সেরা’ও বলা যাচ্ছে না। কারণ, এই জুনিয়র সেরা বাঙালিরাও অনেকেই এখনই রীতিমতো তারকা। টিভি সিরিয়ালের মিষ্টি ভূত ‘ভুতু’র ভাল নামটা অবশ্য অনেকেই জানেন না। বাস্তবে ক্লাস ওয়ানের পড়ুয়া পাঁচ বছুরে দস্যি মেয়ের নামটা শুনতে খটোমটো লাগছিল। কী নাম? দু’বার জিজ্ঞেশ করতেই গম্ভীর মুখে সদ্য পাওয়া পুরস্কারের স্মারক ট্রফিটা এগিয়ে দিল ‘ভুতু’। তাতে লেখা, ‘আর্শিয়া মুখোপাধ্যায়’! সিরিয়ালের গানে ভুতুর কণ্ঠ ক্লাস থ্রি-র শায়েরি সরকারও পুরস্কার পেলেন।
এই সন্ধ্যার কৃতীদের মধ্যে আর এক জন অভিনেতাও যথেষ্ট পরিচিত। কহানি-র গেস্ট হাউজের খুদে কর্মচারী বা ওপেন টি বায়োস্কোপ-এর কচুয়া ওরফে ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়। লেখক শাম্ভবী ঘোষ অন্যদের থেকে বয়সে খানিকটা বড়। বাংলা-ইংরেজিতে কাব্য-উপন্যাস-গল্পের ওই লেখক ভাল ছাত্রীও। কমনওয়েলথ বৃত্তি পেয়ে বিলেতের কিঙ্গস কলেজে সাহিত্যপাঠ সেরে ফিরেছেন।
কনিষ্ঠতম বাঙালি গ্র্যান্ডমাস্টার দাবাড়ু দীপ্তায়ন ঘোষ আবার সবে কলেজে ঢুকেছেন। আট বা দশ বছরের কম বয়স থেকেই আন্তর্জাতিক দাবার আসর এবং এশিয়াডে ধারাবাহিকতা অটুট রেখেছেন এই প্রতিভা। এখন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অর্থনীতি অনার্সের ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্র লাজুক স্বরে এক দিন বিশ্বসেরা হওয়ার স্বপ্নের কথা কবুল করে ফেললেন।
এই কৃতীদের পুরস্কার দিতে হাজির ছিলেন দাবাড়ু দিব্যেন্দু বড়ুয়া, অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদার, লেখক স্মরণজিৎ চক্রবর্তী, গায়িকা সোমলতা বা অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তী। সঞ্চালক যিশু সেনগুপ্ত মজা করে এই হবু সেরাদের আগামীর ‘ধানি লঙ্কা’ বলে ডাকছিলেন। নানা প্রজন্মের ঝাঁঝ-গন্ধের মিলমিশে বাঙালি সৃজনশীলতার বিচ্ছুরণ বিলক্ষণ ফুটে উঠল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy