গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সরে গেল বাধা। রাজ্য নির্বাচন কমিশন যদি চায়, তা হলে ১৪ মে-তেই হতে পারে ভোটগ্রহণ, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। আর তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হল বিরোধী শিবিরে। হাইকোর্টের রায়ে খুশি নয় বিজেপি। হিংসা এড়ানো যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থাকা সত্ত্বেও ১৪ মে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্তে কী ভাবে সায় দিল আদালত? প্রশ্ন তোলা হয়েছে বিজেপির তরফে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও হাইকোর্টের রায় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গ্রামবাংলাকে ভোটের দিন ‘রক্তস্নান’ করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। আর তৃণমূলের তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘আমরা ভোটের জন্য প্রস্তুত ছিলাম।’’
১৪ মে ভোট হবে ধরে নিয়েই নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য প্রশাসন এগোচ্ছিল। ভোটগ্রহণের জন্য সব রকমের প্রস্তুতিই সেরে রাখা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট জানাল, ভোট কবে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশনই। ফলে ১৪ মে ভোট নেওয়ার পথে আর কোনও বাধা রইল না।
আদালত থেকে বেরিয়েই এ দিন রায় নিয়ে অসন্তোষ উগরে দেন বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আদালত মেনে নিয়েছে যে, ভোটের দিন হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে। সে রকম ঘটনা ঘটলে ক্ষতিগ্রস্তকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে রাজ্য সরকার বাধ্য থাকবে বলে আদালত জানিয়েছে।’’ রায়ের এই অংশ তুলে ধরেই বিজেপির প্রশ্ন— হিংসাত্মক ঘটনা বা প্রাণহানি ঘটার মতো পরিস্থিতি রয়েছে জেনেও কী ভাবে ১৪ তারিখ ভোটগ্রহণের বিষয়ে সায় দিয়ে দিল হাইকোর্ট? এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানো হবে কি না, বিজেপি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে কি না, সে বিষয়ে অবশ্য প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু জানাননি।
আরও পড়ুন: সোমবারই হচ্ছে পঞ্চায়েত ভোট, তবে ঝুলে রইলেন ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী’রা
আরও পড়ুন: কবি তো জানি রবীন্দ্রনাথ-নজরুল, এ আবার নতুন কোন কবি: কেষ্ট
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু রায় প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে। তিনি বলেছেন, ‘‘আদালত যদি নির্বাচন কমিশনের উপরে ভরসা রাখে এবং কমিশন যদি এক দফাতেই ভোট করাতে চায়, তা হলে এক দফাতেই হবে। আমাদের কিছু করার নেই।’’ কিন্তু পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করে যে ভাবে এক দফায় নির্বাচনের ব্যবস্থা হচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিমান বসু বলেছেন, ‘‘রক্তাক্ত নির্বাচন হবে, ভোটের দিন বাংলায় রক্তস্নান হবে। পরিসংখ্যানই বলছে, বুথপিছু একজন করে সশস্ত্র রক্ষী দেওয়ার ক্ষমতাও রাজ্যের নেই।’’
শাসক দল হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, ‘‘জোট-ঘোঁট আর কোর্ট ছাড়া বিরোধীদের কাছে নতুন কিছু ছিল না। বিরোধীরা সাধারণ মানুষের অধিকারকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করেছে। মানুষ এই কৌশল ধরতে পেরেছে। রাজ্যের মানুষ এর উত্তর দেবে। আমরা খুশি। মানুষ এ বার তাঁদের অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy