Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

মঞ্চে ডাকা হয়নি, উন্নয়ন বৈঠক ছাড়লেন কর্মাধ্যক্ষরা

সভায় যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়নি— এই অভিযোগে পঞ্চায়েতের উন্নয়ন বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষেরা। এমনকী জেলাশাসকের অনুরোধেও ফিরতে রাজি হননি তাঁরা।

মঞ্চে ফাঁকা চেয়ার, তবু না ডাকায় ক্ষোভ কর্মাধ্যক্ষদের। —নিজস্ব চিত্র।

মঞ্চে ফাঁকা চেয়ার, তবু না ডাকায় ক্ষোভ কর্মাধ্যক্ষদের। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:২৭
Share: Save:

সভায় যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়নি— এই অভিযোগে পঞ্চায়েতের উন্নয়ন বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষেরা। এমনকী জেলাশাসকের অনুরোধেও ফিরতে রাজি হননি তাঁরা।

মঙ্গলবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চের ওই বৈঠক থেকে কর্মাধ্যক্ষদের এভাবে বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে সোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলায়। যদিও কর্মাধ্যক্ষদের অভিযোগ, ওই সভায় তাদের উপযুক্ত মর্যাদা দেওয়া হয়নি। তাই সম্মেলন ছেড়ে চলে এসেছেন তাঁরা।

এ দিন জেলায় পঞ্চায়েতের উন্নয়ন সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু, জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) হৃষিকেশ মুদি, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) প্রণব বিশ্বাস ও অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) রত্নেশ্বর রায়। ছিলেন রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের দুই আধিকারিকও। সভার শুরুতেই প্রশাসনের পদাধিকারীদের মঞ্চে ডেকে নেওয়া হয়। তবে কোনও কর্মাধক্ষ্যকেই মঞ্চে ডাকা হয়নি। এরপর থেকেই দশর্কাসনের প্রথম সারিতে বসে থাকা কর্মাধ্যক্ষদের একাংশের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়। সভাধিপতি দেবু টুডু ওই ঘটনার আঁচ পেয়ে কর্মাধ্যক্ষদের ডাকতে নির্দেশ দেন। নীচে বসে থাকা কর্মাধ্যক্ষদের মঞ্চে ডাকেন ঘোষক। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। কর্মাধ্যক্ষেরা মঞ্চে ওঠেননি। পরে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বক্তা বক্তব্য রাখা শুরু করার পরে সংস্কৃতি লোকমঞ্চে ত্যাগ করে জেলা পরিষদে চলে যান তাঁরা।

জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদে গিয়ে ওই কর্মাধ্যক্ষেরা একটি বৈঠকে বসেছিলেন। সংস্কৃতি লোকমঞ্চ ছেড়ে চলে আসা নিয়ে জেলা পরিষদের সভানেত্রী অরুন্ধতী সেন বলেন, “ওই বৈঠকে আমাদের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আমাদের মঞ্চেও ডাকা হয়নি। অথচ প্রচুর চেয়ার ফাঁকা ছিল।” তবে জেলা পরিষদের পরিবেশ ও স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গোলাম জার্জিসের দাবি, “জেলা পরিষদের আমাদের পূর্বনির্ধারিত একটি বৈঠক ছিল। তাই চলে আসি। আমাদের বৈঠকেও তো উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা ছিল।”

এ দিকে কর্মাধ্যক্ষেরা চলে আসার পরেই জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন জেলা পরিষদে গিয়ে ওই কর্মাধ্যক্ষদের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে ফিরে এসে উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দিতে অনুরোধ করেন। তবে কর্মাধ্যক্ষেরা জেলাশাসকের অনুরোধ রাখেননি। পরে জেলাশাসক বলেন, “কর্মাধ্যক্ষদের তো মঞ্চে ডাকা হয়েছিল। আমি জেলা পরিষদে গিয়েওছিলাম ওই কর্মাধ্যক্ষেরা কেন ফিরে এলেন তা জানতে। ওঁরা আমাকে বলেছেন, তাঁদের জন্য আলাদা রেজিষ্ট্রেশনের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। ফলে তাঁদের লাইন দিয়ে অন্যদের সঙ্গে ঢুকতে হয়েছে। তাতে কিছু সমস্যা হয়েছে।” সৌমিত্র মোহনের দাবি, “আমি অতিরিক্ত জেলাশাসকদের বলেছি, ভবিষ্যতে যাতে ওঁদের জন্য আলাদা ডেস্ক থাকে তার ব্যবস্থা করতে।”

অন্য বিষয়গুলি:

burdwan unhappy zilla parisad
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE