Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

ভর্তি নিয়ে আন্দোলনেও টিএমসিপি-র গোষ্ঠীকোন্দল

ভর্তি নিয়ে আন্দোলনেও টিএমসিপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা গেল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। একদিকে, প্রথম তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও পরে বাদ পড়া নিয়ে দুই ছাত্রের পাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালেন টিএমসিপি-র কয়েকজন ছাত্রনেতা। আবার ওই ছাত্রদের দাবি অবৈধ বলে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিলেন টিএমসিপি-রই আরও কয়েকজন নেতা।

চলছে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

চলছে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৩৭
Share: Save:

ভর্তি নিয়ে আন্দোলনেও টিএমসিপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা গেল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে।

একদিকে, প্রথম তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও পরে বাদ পড়া নিয়ে দুই ছাত্রের পাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালেন টিএমসিপি-র কয়েকজন ছাত্রনেতা। আবার ওই ছাত্রদের দাবি অবৈধ বলে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিলেন টিএমসিপি-রই আরও কয়েকজন নেতা।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজবাটি ক্যাম্পাসে সকাল থেকেই এ নিয়ে সরগরম ছিল। ট্যুরিজম বিভাগের স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি না হতে পারায় দুই ছাত্র সকাল থেকেই উপাচার্যের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি দীপক পাত্র ও জেলা টিএমসিপি নেতা সারওয়ার্দি হাসানের নেতৃত্বে প্রায় ১০০ ছাত্রছাত্রী। পরে টিএমসিপি নেতা মহম্মদ আজিজের নেতৃত্বে বর্ধমান রাজ কলেজের বেশ কিছু ছাত্রও বিক্ষোভে যোগ দেয়। উপাচার্যের দফতরে ঢোকারও চেষ্টা করেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, ওই দু’জনকে ভর্তি না করা হলে আন্দোলন চলবে। এমনকী পুলিশ দু’বার এসে সরিয়ে দেওয়ার পরেও সন্ধ্যা পর্যন্ত চত্বর ছেড়ে নড়েন নি বিক্ষোভকারীরা।

এ দিকে টিএমসিপি-র দখলে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার আমিরুল ইসলাম ও সভাপতি প্রদীপ বাজপেয়ী উপাচার্যকে পাল্টা স্মারকলিপি দিয়ে দাবি করেন, এমবিএ ট্যুরিজম বিভাগে ভর্তির আবেদনকারী ওই দুই ছাত্রের আব্দার সম্পূর্ণ অন্যায় ও অবৈধ। তাঁদের দাবি, তিনটি পৃথক বিভাগের জন্য আবেদনপত্রে তাঁরা দ ুটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের একই শিক্ষা বর্ষের মার্কশিট জমা দিয়েছেন। যা ইউজিসির নিয়ম বিরুদ্ধ ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতারণার সামিল। তাঁদের আরও অভিযোগ, গ্রুপ ডিসকাশন বা পার্সোনাল ইন্টারভিউতে অংশ নেয়নি ওই দুজন। আবেদনপত্রেও ভুল ছিল। তা সত্বেও কি করে তাঁদের নাম প্রথম মেধা তালিকায় প্রকাশিত হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হোক। এমনকী দীপক বা হাসান যাঁদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তাঁরাও বহিরাগত বলে দাবি খোন্দকার আমিরুল ইসলামদের।

পরে শেখ সুখচাঁদ ও আলমগির হোসেন নামে দুই ছাত্রনেতা দাবি করেন, উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার ওই ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছেন, তাঁদের ভর্তির আবেদনে কিছু ত্রুটি থাকায় ভর্তি আটকে আছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিটি কয়েকদিনের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE