Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

আমানত ফেরত না মেলায় ক্ষোভ

মাসিক কিস্তির টাকা নেওয়া হচ্ছে না। আবার আমানত ফেরতও দেওয়া হচ্ছে না। এক সংস্থায় বিনিয়োগ করে এখন এমন টানাপড়েনে পড়েছেন দুর্গাপুরের বেশ কিছু আমানতকারী। যে এজেন্ট আমানত সংগ্রহ করতেন, তাঁর কাছে টাকা ফেরতের কথা বলতে গেলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও তাঁদের অভিযোগ। গোটা বিষয়টি নিয়ে মহকুমা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই আমানতকারীরা। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক কস্তুরী সেনগুপ্ত বলেন, “অভিযুক্ত এজেন্ট ও আমানতকারীদের ডেকে শুনানি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৪২
Share: Save:

মাসিক কিস্তির টাকা নেওয়া হচ্ছে না। আবার আমানত ফেরতও দেওয়া হচ্ছে না। এক সংস্থায় বিনিয়োগ করে এখন এমন টানাপড়েনে পড়েছেন দুর্গাপুরের বেশ কিছু আমানতকারী। যে এজেন্ট আমানত সংগ্রহ করতেন, তাঁর কাছে টাকা ফেরতের কথা বলতে গেলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও তাঁদের অভিযোগ। গোটা বিষয়টি নিয়ে মহকুমা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই আমানতকারীরা। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক কস্তুরী সেনগুপ্ত বলেন, “অভিযুক্ত এজেন্ট ও আমানতকারীদের ডেকে শুনানি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমানত সংগ্রহ করে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় বিনিয়োগ করে ওই সংস্থাটি। দুর্গাপুরের বামুনাড়া এলাকায় ওই সংস্থার এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন বাবলু ঘোষ। তিনি এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসেবেও পরিচিত। আমানতকারীদের অভিযোগ, বাবলুবাবুই স্থানীয় বাসিন্দাদের ওই সংস্থায় টাকা রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। প্রথম দিকে তিনি নিয়মিত মাসিক কিস্তির টাকা সংগ্রহ করতেন। কিন্তু এখন তিনি মাসিক কিস্তির টাকা নিচ্ছেন না। যে টাকা লগ্নি করা হয়েছে, তা ফিরত দিতেও গড়িমসি করছেন। সুদের টাকাও মিলছে না বলে অভিযোগ।

মুচিপাড়া এলাকার বাসিন্দা বুধন রুইদাসের অভিযোগ, “প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে এখনও পর্যন্ত মোট সাড়ে তিন হাজার টাকা জমা দিয়েছি ওই সংস্থায়। কিন্তু গত বছর জুলাইয়ের পরে আমার থেকে আর টাকা নেওয়া হয়নি। টাকা চাইতে গেলে হুমকিও দেওয়া হয়েছে।” আর এক আমানতকারী রাজকুমার সুঁইয়ের দাবি, ওই প্রকল্পে প্রতি মাসে ৩০০ টাকা করে জমা রাখলে তিন বছর শেষে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাস ধরে কিস্তির টাকা নিচ্ছেন না এজেন্ট। তাঁরও অভিযোগ, “টাকা ফেরত চাইলে হুমকি শুনতে হচ্ছে।”

বাবলুবাবু অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, যে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটি কোনও অর্থলগ্নি সংস্থা নয়, রিয়েল এস্টেট সংস্থা। তাঁর আরও বক্তব্য, “মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আমানত ফেরত দেওয়ার নিয়ম নেই। আমানতকারীরা না জেনেই অভিযোগ আনছেন। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।”

দলের নেতার জড়িত থাকার অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের ৩ নম্বর ব্লক সভাপতি সুনীল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কেউ প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকলে দল তাঁর পাশে থাকবে না।”

অন্য বিষয়গুলি:

cheat fund anger durgapur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE