প্রতীকী ছবি।
রোজকার মতো বৃহস্পতিবার সকালেও সাঁতার শিখতে গিয়েছিলেন যুবক। সেখানে অনুশীলনের সময় আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ফেনা বেরোতে থাকে মুখ থেকে। এর পর যুবককে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বর্ধমানের কল্পতরু মাঠের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১৯ বছরের ওই তরুণের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যুবকের নাম কাইফ মণ্ডল। পরিবারের দাবি, এটা কোনও দুর্ঘটনা নয়। ছেলেকে খুন করা হয়েছে!
কাইফ ইস্ট-ওয়েস্ট মডেল স্কুলের ছাত্র। চলতি বছর তিনি দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছেন। পরীক্ষার পরেই সাঁতার শিখতে ভর্তি হন ওই সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে সওয়া ৭টা থেকে সওয়া ৮টার স্লটে সাঁতার শিখতেন কাইফ। বৃহস্পতিবারও সেখানে যান তিনি। তার কিছু পরেই বাড়িতে ফোন করে জানানো হয়, অনুশীলনের সময় ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মৃতের আত্মীয় শেখ জাকির হোসেন বলেন, ‘‘প্রতি দিনের মতো সাঁতার শিখতে গিয়েছিল কাইফ। পুল থেকে খবর দেয়, ছেলে অসুস্থ। আমরা দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে দেখি, ছেলে আর বেঁচে নেই! কর্তৃপক্ষের কেউ সেখানে ছিল না। এই ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।’’
অন্য দিকে সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে দাবি, অনুশীলন করার সময় কাইফের মুখ দিয়ে ফেনা বেরোতে দেখা যায়। তিনি অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। পুলিশের একটি গাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা কাইফকে মৃত ঘোষণা করেন। সুইমিং পুলের তরফে সৌগত হালদার বলেন, ‘‘এখানে জলে ডুবে মরা সম্ভব নয়। কাইফ এখন রেলিং ধরে অনুশীলন করত। ছেলেটি অসুস্থ হওয়ার পর ডাক্তার দেখানো হয়। তখন ওর পাল্স ছিল। দ্রুত ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমাদের ধারণা, ছেলেটি কোনও কারণে অসুস্থ ছিল।’’
যুবকের মৃত্যুরহস্যে বর্ধমান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ডিএসপি ট্রাফিক (২) রাকেশ চৌধুরী বলেন, ‘‘অভিযোগ হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’’ এর আগে ২০১২ সালে সাঁতার শিখতে আসা এক তরুণের মৃত্যু ঘিরে শোরগোল পড়েছিল। সেই ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy