দলের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের পাঁচ সদস্য। কালনা ১ ব্লকের কাঁকুড়িয়া পঞ্চায়েতের ওই সদস্যদের দাবি, উপপ্রধান আয়ুব নবি শেখ বেশ কিছু ধরেই অন্য সদস্যদের না জানিয়ে দুর্নীতি করছেন। তাঁর অপসারণ চেয়ে মহকুমাশাসক, কালনা ১ বিডিও এবং পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্টকে চিঠিও পাঠিয়েছেন তাঁরা। যদিও ওই উপপ্রধানের পাল্টা দাবি, তিনি দুর্নীতিতে বাধা দেওয়ায় চক্রান্ত করে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। কালনার মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘‘অনাস্থা সভা ডাকার বিষয়টি বিডিওকে দেখতে বলা হয়েছে।’’
পঞ্চায়েতের ১৪টি আসনের মধ্যে আটটিতে তৃণমূল এবং ছটি বামেদের দখলে রয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষি দফতর কালবৈশাখী ঝড়বৃষ্টির পরে চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই ফর্ম বিলি নিয়েই দ্বন্দ্ব শুরু। শুক্রবার কাদিপাড়ার পঞ্চায়েত সদস্য সুরজা বেগম অভিযোগ করেন, ‘‘এর আগে উপপ্রধানের মদতে ক্ষতিপূরণ নিয়ে লক্ষাধিক টাকার দুর্নীতি হয়েছিল। এ বার আমরা গোড়া থেকেই প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত যাতে ফর্ম পান তা বলেছিলাম। উপপ্রধান আমাদের কথায় কান না দিয়ে নিজের পছন্দের লোকেদের ফর্ম দিতে শুরু করেন।’’
উপপ্রধানের পাল্টা দাবি, তিনি স্বচ্ছ ভাবে ফর্ম বিলি করছেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘গত বার ক্ষতিপূরণের নামে দেদার লুঠ চলেছিল। তার বদনাম প্রধান, উপপ্রধানকে নিতে হয়। এ বার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আগে সিদ্ধান্ত হয় কোনও সদস্যর হাতে গোছা গোছা ফর্ম দেওয়া হবে না। মাইকিং করে প্রতি মৌজায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ফর্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তাতেই কয়েকজন সদস্যের গোঁসা হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘ষড়যন্ত্রকারীদের মদত দিয়েছেন এলাকার দলীয় পর্যবেক্ষক ইনসান মল্লিক।’’ যদিও ওই নেতা বলেন, ‘‘কাঁকুরিয়া পঞ্চায়েতের পাঁচ সদস্য উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে শুনেছি। যা বলার দল কে বলব।’’
কালনা ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি উমাশঙ্কর সিংহরায় বলেন, ‘‘যা বলার জেলা সভাপতি বলবেন।’’ জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের বক্তব্য, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy