দিনভর চাপানউতোরের মধ্যেই শনিবার থেকে সিলিন্ডার তোলা-নামানোর কাজ স্বাভাবিক হল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইন্ডিয়াল অয়েলের (আইওসিএল) দুর্গাপুর বটলিং প্ল্যান্টে। এর আগে, শুক্রবার সারাদিন কাজ বন্ধ ছিল।
এ দিন কী হয়েছে? প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে পুলিশ-প্রশাসন ট্রাক মালিক, সিলিন্ডার তোলা-নামানোর দায়িত্বে থাকা ঠিকা শ্রমিক ও আইওসিএল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে। তার পরেই ৩৪ জন ঠিকা শ্রমিক শনিবার সকালে কাজে যোগ দেন।
আর গোল বাধে এতেই। পরিবহণের দায়িত্বে থাকা ট্রাক মালিকেরা দাবি করেন, দিনে গড়ে ১৮০ ট্রাক সিলিন্ডার বোঝাই করা হয়। তাঁদের দাবি, দু’শিফ্টে কাজ হয় প্ল্যান্টে। রয়েছেন ৯৮ জন ঠিকা শ্রমিক। সেই হিসেবে প্রচি শিফ্টে ৪৯ জন করে শ্রমিকের হাজির থাকার কথা। কিন্তু এ দিন ৩৪ জনকে দেখে ট্রাক মালিকেরা দাবি করেন, সিলিন্ডার বোঝাইয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যাবে না। তা না হলে সংস্থা তাঁদের জরিমানা করবেন এই দাবি করেন তাঁরা। ট্রাক মালিকেরা জানান, আইওসিএল জরিমানা করলে সেই অর্থ ঠিকা শ্রমিকদের মজুরি থেকে কেটে নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতি’ মেনেও শ্রমিকদের প্ল্যান্টে ঢুকতে হবে, এই দাবিও জানান তাঁরা। এর পরেই শ্রমিক ও মালিক পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তর্কবিতর্ক।
তার পরে, কাজ শুরুর এক ঘণ্টা বাদে ঠিকা শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে প্ল্যান্ট ছেড়ে বেরিয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে ট্রাক মালিকেরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানান। ইতিমধ্যে প্রায় চার ঘণ্টা বাদে ঠিকা শ্রমিকেরা প্ল্যান্টে ফিরে আসেন। ‘বায়োমেট্রিক’ হাজিরা পদ্ধতি মেনেই তাঁরা প্ল্যান্টে ঢুকে কাজ শুরু করেন। তবে ৪৯ জন নন, ওই ৩৪ জনই কাজে যোগ দেন।
শুক্রবার কাজ বন্ধের সময়ে ঠিকা শ্রমিকেরা অভিযোগ করেছিলেন, জুলাই মাস থেকে তাঁদের মজুরি কমিয়ে দেওয়ায় বেতন নিচ্ছেন না। যদিও পরিবহণকারীদের পাল্টা দাবি, আধুনিক প্রযুক্তিতে কম পরিশ্রমে বেশি ট্রাক বোঝাই করা সম্ভব। ফলে ঠিকমতো কাজ করলে তাঁদের সার্বিক বেতন আগের থেকে বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy