বেহাল: ভাঙা সাঁকো দেখাচ্ছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। নিজস্ব চিত্র
খড়ি নদীর এক ধারে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের দোগাছিয়া। অন্য দিকে মন্তেশ্বর ব্লকের সুটরা। প্রতিদিন বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বাজারে আসাযাওয়া করেন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। চেনা সেই ছন্দে বাদ সাধল কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ে আচমকা সেতুটি ভেঙে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন অন্তত ৩০ গ্রামের বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্তেশ্বরের ব্রহ্মপুর, সুটরা, উত্তর ডিহি, গোয়ালবাড়ি, রায়গ্রাম, মাছডাঙা, রাউতগ্রাম, দুয়ারি, হাজরাপুর, মথুরা, চকধোবারির বাসিন্দারা প্রতিদিন নানা কাজে সেতু পেরিয়ে বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট এবং নবদ্বীপ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরেন। বহু ছাত্রছাত্রী প়ড়তে যান নবদ্বীপ কলেজে। বহু চাষিও ওই সাঁকো পেরিয়ে পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পারুলিয়া পাইকারি বাজারে ফসল নিয়ে আসেন। আবার উল্টো দিকের দোগাছিয়া, সোনাকুড়ি, গাগরা, বেলগরিয়া গ্রাম থেকেও শতাধিক ছাত্রছাত্রী আসে এপারের স্কুলে। বাসিন্দারা জানান, প্রায় ৭০ ফুট লম্বা এই সেতুটি দিয়ে সাইকেল, ভ্যান, মোটর ভ্যান অবাধে যাতায়াত করত। কিন্তু ঝড়ে ভেঙেছে যোগাযোগ।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আপাতত নৌকায় পারাপার চললেও তাতে সমস্যা মিটছে না বলে স্থানীয়দের দাবি। তাঁরা জানান, ঘাটে একটাই নৌকা আছে। তাতে এতটাই ভিড় হচ্ছে যে মাচা ভেঙে বা নৌকা উল্টে যেতে পারে। বিশেষত, স্কুল শুরু বা শেষের সময়ে একসঙ্গে বহু পড়ুয়া নৌকায় ওঠায় বিপদের সম্ভাবনা বাড়ছে বলেও তাঁদের দাবি। মামুদপুর ২ পঞ্চায়েতের সভাপতি কল্লোল গন বলেন, ‘‘নদীতে জল বেড়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে পারাপারে ঝুঁকি রয়েছে।’’ মাঝি, ঘাটের ইজারাদারেরাও জানান, দ্রুত সেতু সারানো না হলে মুশকিল বাড়বে। সেতুটি পাকা করারও দাবি উঠেছে।
বাসিন্দারা জানান, বাঁশের সেতু বারবার নষ্ট হয়ে যায়। সেতুটি পাকা করার জন্য বারবার নানা জায়গায় চিঠি পাঠিয়েও লাভ হয়নি। রাউতগ্রামের বাসিন্দা বৃন্দাবন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সেতুটি পাকা হলে সব থেকে বেশি উপকৃত হবেন চাষিরা।’’ পূর্বস্থলী ১ ব্লকের দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান প্রণব রায়চৌধুরি জানান, সেতুটি পাকা করার জন্য সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি পাঠানো হয়েছিল। পূর্ত দফতরের লোকেরা এসে মাটি পরীক্ষাও করে যায়। কিন্তু ওই পর্যন্তই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy