Advertisement
E-Paper

প্রতি বর্ষায় ভাঙে সাঁকো, পাকা সেতুর দাবি গ্রামবাসীর

খড়ি নদীর এক পাড়ে দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের গাগরা এলাকার ঘাট। অন্য পাড়ে মন্তেশ্বরের মামুদপুর পঞ্চায়েতের সুটরা ঘাট।

পূর্বস্থলীর দোগাছিয়ার সুটরা ঘাটে এ ভাবেই যাতায়াত পড়ুয়াদের।

পূর্বস্থলীর দোগাছিয়ার সুটরা ঘাটে এ ভাবেই যাতায়াত পড়ুয়াদের। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৪ ০৮:৩৩
Share
Save

এলাকায় কোনও উচ্চ বিদ্যালয় নেই। ফলে খড়ি নদী উপরে বাঁশের সাঁকো পেরিয়েই নিত্য যাতায়াত করতে হয় পূর্বস্থলী ১ ব্লকের দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের গাগরা ও আশপাশের কয়েকটি গ্রামের পড়ুয়াদের। গ্রীষ্মে সমস্যা না হলেও বর্ষা এলেই সাঁকোটি ভেঙে পড়ে। ঝুঁকি নিয়েই নৌকায় পারাপার করতে হয় পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষকে। নদীর জল বাড়ায়, যে কোনও সময় নৌকা উল্টে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কে গ্রামবাসীর। সেখানে পাকা সেতু তৈরির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

খড়ি নদীর এক পাড়ে দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের গাগরা এলাকার ঘাট। অন্য পাড়ে মন্তেশ্বরের মামুদপুর পঞ্চায়েতের সুটরা ঘাট। মাঝে বাঁশের সাঁকোটি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় শ’পাঁচেক পড়ুয়া রোজ নদী পেরিয়ে মন্তেশ্বরের সুটরা ঘাট থেকে আরও প্রায় দু’কিলোমিটার হেঁটে সুটরা মুক্তেশ্বর বিদ্যানিকেতনে যায়। গ্রীষ্ম কালে নদীতে তেমন জল থাকে না। সে সময় বাঁশের সাঁকো দিয়েই সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করে তারা। তবে বর্ষা এলে নদী ফুলে ফেঁপে ওঠে। ভেঙে পড়ে সাঁকো। জল-কাদার মধ্যে ঘাটে এসে নৌকায় উঠতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। অন্য পাড় থেকে দড়ি দিয়ে সে নৌকা টেনে নিয়ে যাওয়া হয়।

নবম শ্রেণির ছাত্রী পিউ ঘোষ, শিপ্রা ঘোষদের দাবি, প্রতি বার বর্ষার আগে সাঁকোটি নষ্ট হয়ে যায়। ওই সময় নদীতে জল বেশি থাকায় নৌকাও টাল খায়। যে কোনও উল্টে যাবে মনে হয়। এত সমস্যার জন্য গ্রামের অনেক পড়ুয়াই স্কুলেও যেতে চায় না বলে জানায় তারা।

এলাকার বাসিন্দা সুব্রত ঘোষ বলেন, “শুধু পড়ুয়া নয়। ফসল নিয়ে যাওয়া কিংবা অন্য কাজেও মানুষকে নদী পার হতে হয়। পাকা সেতু তৈরির দাবি দীর্ঘ দিনের। তবু কাজ হয় না।” এলাকাবাসীর ক্ষোভ, প্রতি বার ভোটে খড়ি নদীতে পাকা সেতু তৈরি নিয়ে নেতারা প্রচার করেন। এক বার সেতুর জন্য মাটি পরীক্ষাও হয়েছিল। কোনও কাজ হয়নি।

পঞ্চায়েত প্রধান অপর্ণা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বর্ষায় পড়ুয়াদের অসুবিধা হয় জানি। সাঁকোর ব্যাপারে মামুদপুর পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরাও কিছু করতে পারি কি না তা দেখা হচ্ছে।” তিনি জানান, পাকা সেতুর বিষয়টি রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের নজরে আনা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Purbasthali Bridge

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}