Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Varieties of Sweets

চন্দ্রযান থেকে বেদানা ভোগ, ভাইফোঁটায় রকমারি মিষ্টি

নিভুজিবাজার মোড় এলাকার একটি মিষ্টির দোকানে এসেছে ম্যাঙ্গো রাবড়ি, মালাই চাপ, কেশর মালাই, নলেন গুড়ের জলভরা, মাটির পাত্রে কেশর রসমালাই, সরভাজার মতো নানা স্বাদের মিষ্টি।

কালনায় ভাইফোঁটার মিষ্টি তৈরি।

কালনায় ভাইফোঁটার মিষ্টি তৈরি। ছবি: জাভেদ আরফিন মণ্ডল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:২৫
Share: Save:

ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেওয়ার পাশাপাশি থালায় মিষ্টি সাজিয়ে দেন বোনেরা। অন্যদিকে, এই দিনে বোনকে শুভেচ্ছা জানাতে পছন্দের মিষ্টি কিনতে দোকানে ভিড় করেন দাদা-ভাইয়েরা।

ভাইফোঁটার কথা মাথায় রেখে কালনা শহরের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা তৈরি করেছেন ৩০০-র বেশি স্বাদের মিষ্টি। তাঁদের দাবি, দাম রাখা হয়েছে মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই। কালনা শহর ও আশপাশ মিলিয়ে রয়েছে ৬০টির বেশি মিষ্টির দোকান। এই সব দোকানগুলিতে সব থেকে বেশি ব্যবসা হয় ভাইফোঁটায়। উৎসবের কয়েকদিন আগে থেকেই চলে প্রস্তুতি। নিয়োগ করা হয় বাড়তি কারিগর।

সোমবার শহর ঘুরে দেখা গেল ইতিমধ্যে দোকানগুলির ট্রে সেজে উঠেছে ভাইফোঁটার মিষ্টিতে। এগুলি তৈরি হয়েছে মূলত বাটা সন্দেশ, খোয়াক্ষীর, দুধ, বিভিন্ন ফল, নানা স্বাদের জেলি, চকলেট-সহ নানা উপকরণে। কোনও দোকানে বাহারি বাক্সের মধ্যে রাখা হয়েছে ভাইফোঁটার মিষ্টি।

শহরের চকবাজার এলাকার একটি মিষ্টির দোকানে গিয়ে দেখা গেল দোকানে এসেছে বেদানা ভোগ, ম্যাঙ্গো মস্তি, চকলেট ক্যাফে, কোকো বল, আগমনী, ঘট চেরি, ডেয়ারি ভোগ, তালশাঁস, জলভরার মতো নানা নামের মিষ্টি। দোকানের মালিক রণজিৎ মোদক জানালেন, সাদা রঙের আগমনী মিষ্টিতে ব্যবহার করা হয়েছে চকো চিপস, মাখন, সিরাপ ও বাটার স্কচ। এ মিষ্টিতে কামড় দিলে মিলবে আইসক্রিমের স্বাদ। ডেয়ারি ভোগ তৈরি হয়েছে চকলেটের টুকরো, বাটা সন্দেশ, কোকো সিরাপ ও কোকো পাউডার দিয়ে। বেশ কিছু মিষ্টিতে ব্যবহার করা হয়েছে বেদানার মতো নানা ফল। তিনি আরও জানান, ভাইফোঁটার জন্য তৈরি করা হয়েছে ২৫ হাজারের বেশি রসগোল্লা, পান্তুয়া ও ৫ কুইন্টাল মাখা সন্দেশ। তিনি বলেন, ‘‘ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে ১০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যেই বেশিরভাগ মিষ্টির দাম রাখা হয়েছে। তবে কিছু কিছু মিষ্টি এবার আকারে ছোট করা হয়েছে।’’

নিভুজিবাজার মোড় এলাকার একটি মিষ্টির দোকানে এসেছে ম্যাঙ্গো রাবড়ি, মালাই চাপ, কেশর মালাই, নলেন গুড়ের জলভরা, মাটির পাত্রে কেশর রসমালাই, সরভাজার মতো নানা স্বাদের মিষ্টি। সাত রকম স্বাদের রসগোল্লাও করা হয়েছে ভাইফোঁটা উপলক্ষে। দোকানের মালিক দেবরাজ বারুই বলেন, ‘‘ছানা কেজি প্রতি ২৭০ টাকা, চিনি কুইন্ট্যাল প্রতি ৪৬৫০ টাকা, কেরোসিন তেল লিটার প্রতি ৮২ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে বেশির ভাগ মিষ্টির দাম ১০-৩০ টাকার মধ্যে রাখা হয়েছে।’’ তার দাবি ভাইফোঁটা উপলক্ষে এবার ৪০ টাকার দামের জলভরা তৈরি হবে। তার ভিতরে থাকবে খাঁটি নলেন গুড়।

শহরের ছোটদেউড়ি এলাকার এক মিষ্টির দোকানের মালিক অরিন্দম দাস বলেন, ‘‘এবার বেশ কিছু নতুন মিষ্টি তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে চন্দ্রযান-২ মিষ্টি, যার দাম রাখা হয়েছে ৬০ টাকা। এ ছাড়া নানা বাজির মডেলেও কিছু মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২৫০ রকম মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে। দাম ৫ টাকা থেকে ১০০ টাকা।’’

এদিন মিষ্টি কিনতে এসেছিলেন কালনা শহরের বাসিন্দা দেবিকা সাহা। তিনি বলেন, ‘‘ফোঁটা নিতে ৫ জন দাদা-ভাই আসবে বাড়িতে। ওদের জন্য ৫ রকমের মিষ্টি কিনেছি।’’ আর এক ক্রেতা ভুবন মজুমদার বলেন, ‘‘ভোরবেলা দিদির বাড়ি ফোঁটা নিতে রওনা দেব। তাই আজই মিষ্টি কিনে নিচ্ছি। বাজেটের মধ্যেই নানা স্বাদের মিষ্টি কিনেছি। আশা করছি সকলের ভাল লাগবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Bhatri Dwitiya Kalna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE