জল ঢুকে গিয়েছে ঘরে। কুলটির বামনডিহায়। নিজস্ব চিত্র
উচ্চ জলাধারের ভালভ্ ফেটে যাওয়ার ফলে লাগোয়া প্রায় দশ-বারোটি বাড়িতে জল ঢুকে বিপত্তি তৈরি হল কুলটিতে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নষ্ট হয়ে গিয়েছে ঘরের জিনিসপত্র। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘটনায় ক্ষোভ তৈরি হয় কুলটির বামনডিহায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে থানার সামনে জড়ো হন কিছু বাসিন্দা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যান পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকা সংস্থার আধিকারিকেরা। পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
আসানসোল পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে কুলটির নতুন জলপ্রকল্পের বামনডিহা উচ্চ জলাধারে পরীক্ষামূলক ভাবে জল তোলার কাজ চলছিল। দামোদর থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু জলের চাপ সহ্য করতে না পেরে জলাধারে লাগানো একটি ভালভ্ ফেটে যায়। এর পরেই সেখান থেকে হু-হু করে জল বেরিয়ে আশপাশের প্রায় দশ-বারোটি বাড়িতে ঢুকে যায়। এলাকাটি অপেক্ষাকৃত ঢালু থাকায় জলের তোড়ও বেশি ছিল। নষ্ট হয়ে যায় ঘরের সামগ্রী।
স্থানীয় বাসিন্দা দীনেশ তিওয়ারি বলেন, ‘‘আমি কাপড় ফেরি করে দিন গুজরান করি। ঘরে জল ঢুকে যাওয়ায় ফেরির জিনিসপত্র পুরো নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’ আর এক বাসিন্দা, পেশায় মৃৎশিল্পী জিতেন পণ্ডিত বলেন, ‘‘সামনেই পুজো। মাটির তৈরি জিনিসপত্র তৈরি করে মজুত করেছিলাম। জলের তোড়ে সবই প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’ জল ঢুকে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছে আরও কয়েকটি পরিবার।
বাসিন্দাদের দাবি, ঘরে জল ঢুকতে দেখে তাঁরা প্রথমে মনে করেছিলেন, প্রচণ্ড বৃষ্টির জেরে এই কাণ্ড ঘটেছে। কিন্তু, বাইরে বেরিয়ে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারেন তাঁরা। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ক্ষতিপূরণের দাবিতে রাস্তা অবরোধের চেষ্টাও করেন কয়েকজন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তা আটকায়। এর পরেই ওই বাসিন্দারা থানায় গিয়ে ক্ষতিপূরণের দাবি জানাতে থাকেন।
ভালভ্ ফাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ার ও কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকা সংস্থার আধিকারিকেরা। পুলিশের মধ্যস্থতায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনায় বসেন তাঁরা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট নিয়মে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা হবে বলে ঠিক হয়েছে বৈঠকে। আসানসোল পুরসভার জল দফতরের মেয়র পারিষদ পূর্ণশশী রায় বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টির বিভাগীয় তদন্ত হবে। পুরসভা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy