গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে দু’টি অনিয়ম জেলা প্রশাসনের নজরে এসেছিল গত সপ্তাহে। দু’টি ক্ষেত্রেই জেলাশাসক আয়েষা রানি এ জানিয়েছিলেন, তদন্তে ঘটনা প্রমাণিত হলে, টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। প্রশাসনের তদন্তে দু’টি ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে। সোমবার থেকে উপভোক্তাদের হাতে সেই টাকা তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
অভিযোগ ছিল, বাংলার বাড়ির উপভোক্তাদের কাছ থেকে উন্নয়নের নামে হাজার টাকা করে নিচ্ছে মেমারি ১ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত। খবর ছড়াতেই তদন্ত শুরু করে জেলা প্রশাসন। ওই ব্লকের তিনটে পঞ্চায়েতের সচিবকে শো-কজ় করা হয়। তদন্তে প্রশাসনিক কর্তারা জানতে পারেন, ব্লক অফিসেই রীতিমতো বৈঠক করে বাংলার বাড়ি প্রাপকদের কাছ থেকে উন্নয়ন খাতে টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। জেলাশাসক চেপে ধরার পরেই ব্লক প্রশাসন ‘চাপে’ পড়ে যায়। ব্লক থেকে সরাসরি পঞ্চায়েতে ফোন করে ওই টাকা নিতে নিষেধ করা হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সোমবার মেমারি ১ ব্লকের দুর্গাপুর পঞ্চায়েত ও নিমো ২ পঞ্চায়েত ‘বাংলার বাড়ি’ প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ফেরাতে শুরু করেছে। দুর্গাপুর ১ পঞ্চায়েত এখনও পর্যন্ত ছ’জনকে ও নিমো ২ পঞ্চায়েত চার জনকে টাকা ফেরত দিয়েছে। সেই রিপোর্ট প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে।
আর একটি অভিযোগ ছিল, মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রাম পঞ্চায়েতের কুরুম্বা গ্রামে ‘কাটমানি’ নেওয়ার। ওই গ্রামের তিন বাসিন্দা জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেতে হলে তিন হাজার টাকা দিতে হবে বলে তৃণমূলের বুথ সভাপতি-সহ কয়েক জন তাঁদের জানিয়েছিলেন। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আটকে যাওয়ার ভয়ে তাঁরা সেই টাকা দেন। সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পরে জেলাশাসকের নির্দেশে তদন্ত হয়। তদন্তে জানা যায়, এক জনের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল। বাকি দু’জনের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছিল। জেলাশাসক বলেন, “যাঁর থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল, তা ফেরত দেওয়া হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy