Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪

মিছিলে, স্লোগানে যুযুধান দু’পক্ষ

অশান্তি সে ভাবে হয়নি কোথাও। কিন্তু ছিল মিছিল, পাল্টা মিছিল। স্লোগান, পাল্টা স্লোগানের আবহে বিজেপি-র ১২ ঘণ্টার বন্‌ধের জেরে বুধবার জেলার নানা প্রান্তে শাসক, বিজেপি-র ‘শক্তি প্রদর্শনে’র মহড়া যথেষ্টই হয়েছে বলে মনে করছেন জেলার বাসিন্দারা।

পাশাপাশি। নিজস্ব চিত্র

পাশাপাশি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল ও দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৩৬
Share: Save:

অশান্তি সে ভাবে হয়নি কোথাও। কিন্তু ছিল মিছিল, পাল্টা মিছিল। স্লোগান, পাল্টা স্লোগানের আবহে বিজেপি-র ১২ ঘণ্টার বন্‌ধের জেরে বুধবার জেলার নানা প্রান্তে শাসক, বিজেপি-র ‘শক্তি প্রদর্শনে’র মহড়া যথেষ্টই হয়েছে বলে মনে করছেন জেলার বাসিন্দারা। সেই সঙ্গে ‘পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা’রও অভিযোগ করেন তৃণমূল বিধায়ক।

পাশাপাশি দু’দল

সকাল ১১টা। ধাদকা এলাকা। এলাকাবাসী জানান, আচমকা কয়েক জন বিজেপি সমর্থক দোকান বন্ধের জন্য জোর করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন তৃণমূল সমর্থকেরাও। পুলিশের সামনেই দু’পক্ষের তুমুল বচসা শুরু হয়। শুরু হয় স্লোগান-পাল্টা স্লোগান। দেখা যায়, এক পক্ষ দোকানের সাটার নামাচ্ছেন। আর অন্য পক্ষ দোকানের সাটার তুলে দিচ্ছেন। এমনকি, লম্বা বাঁশের লাঠিতে লাগানো দলীয় পতাকা নিয়ে পাশাপাশি মিছিল করে তৃণমূল ও বিজেপি।

দোকান খুলতে

পুলিশের সামনেই বরাকর স্টেশন রোডে দোকান বন্ধ করে বিজেপি সমর্থক, কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে সদলবলে এলাকায় পৌঁছন কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূলের কুলটি ব্লক সভাপতি মহেশ্বর মুখোপাধ্যায়। উজ্জ্বলবাবু বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের দোকান খুলতে অনুরোধ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বরাকর ফাঁড়ির পুলিশ অত্যন্ত নিষ্ক্রিয় ছিল। তাই ব্যবসায়ীরা দোকান খুলতে পারেননি।’’ অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার নেতা

দুর্গাপুরের মুচিপাড়া থেকে বাঁকুড়াগামী রাজ্য সড়কের এসবি মোড়ে পথ অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকেরা। পুলিশ এলে ধস্তাধস্তি বাধে এবং শেষমেশ বিজেপি-র জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই-সহ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থলে তৃণমূল কাউন্সিলর চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় এলে তাঁর সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা বাধে।

পুলিশকে ‘মারধর’

প্রান্তিকা বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিজেপি কর্মীদের একটি মোটরবাইক মিছিল আসতেই তা আটকায় পুলিশ। ধস্তাধস্তির মাঝে পড়ে পড়ে যান এক স্কুটি চালক। বিজেপি-র অভিযোগ, এ ক্ষেত্রেও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা পুলিশের সামনেই তাঁদের মারধর করে। পুলিশের দাবি, গ্রেফতারির সময়ে কয়েক জন বিজেপি কর্মী, সমর্থক লাঠি দিয়ে মারে। বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এমনই নানা ঘটনা সামনে আসায় এলাকাবাসীর একাংশ দাবি করেছেন, লোকসভা ভোটের আগে দু’পক্ষ শক্তি প্রদর্শনে নেমেছিল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘শক্তি দেখাব কাকে, ওদের তো কোনও শক্তিই নেই।’’ বিজেপি নেতা পবন সিংহের বক্তব্য, ‘‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পথে নেমেছিল। কর্মীরা তাদের শিক্ষা দিয়েছেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Strike BJP TMC Violence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE