ফাইল চিত্র।
সরকারি প্রকল্পে স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে। পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার এক তৃণমূল কাউন্সিলর দলেরই কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ এনে আসানসোল পুরসভার মেয়রের দ্বারস্থ হন। দলের দাবি, নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ করা নিয়ে দলের দুই নেতার অনুগামীদের বিরোধের জেরে এই পরিস্থিতি। এ দিন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ চালুর বন্দোবস্ত করেন।
মেয়র বলেন, ‘‘পুরসভা তদন্ত করছে। যে দোষী প্রমাণ হবে, তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ পুলিশে কোনও অভিযোগ করেনি।
‘ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশন’ প্রকল্পের ৬২ লক্ষ টাকায় জামুড়িয়ার বালানপুর মোড়ে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। তদারক করছে আসানসোল পুরসভা। ঠিকাদার সবে কাজ শুরু করেছেন। তৃণমূল সূত্রের দাবি, সেই প্রকল্পে লোক নিয়োগ নিয়ে দলের জামুড়িয়া ১ ব্লক সভাপতি সাধন রায় এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাখি কর্মকারের গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। রাখিদেবীর দাবি, এ দিন ঠিকাদারের লোকেরা তাঁকে জানান, কয়েকজন এসে কাজে বাধা দিচ্ছে। ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলতে না পারা পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে হবে বলে জোরাজোরি করছে।
কাউন্সিলরের অভিযোগ, ‘‘আমার দু’জনকে পাঠাই। সেখানে পৌঁছতেই বাবন সিংহ ও তুষার সিংহ নামে দু’জন তৃণমূল কর্মীর নেতৃত্বে জনা ছয়েক তাঁদের ঘিরে ধরে মারধর করেন।’’ বাবনবাবু ও তুষারবাবু দলের অন্দরে ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। অভিযোগ উড়িয়ে তাঁদের দাবি, ‘‘ঘটনাস্থলে ছিলামই না। অন্যত্র দলের দেওয়াল লেখার কাজে ব্যস্ত ছিলাম।’’ ব্লক সভাপতি সাধনবাবুর ক্ষোভ, ‘‘দেওয়াল লেখা শেষ করে ফেরার পথে ওই নির্মীয়মাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছে বাবন ও তুষারকেই ধাক্কাধাক্কি করা হয়। কাজে বাধা দেওয়া তো দূর, ওরাই ঠিকাকর্মীদের কাজ শুরু করতে বলে ফিরে আসে।’’
খবর পেয়ে মেয়র পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তিনি ঠিকাদারের কর্মীদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। জেলা তৃণমূলের এক সূত্রের দাবি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণে ঠিকাকর্মী হিসেবে যাঁরা নিযুক্ত, তাঁরা কাউন্সিলরের গোষ্ঠীর লোক। এখন ব্লক সভাপতির অনুগামীরা নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ করতে চাইছেন। তা নিয়েই বিবাদ। যদিও কাউন্সিলর বা ব্লক সভাপতি এ কথা মানতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy