হিরাপুরে পুলিশের তাড়া। নিজস্ব চিত্র
ছেলেধরা সন্দেহে গোলমাল, মারধরের ঘটনায় রাশ পড়ছে না জেলায়। বুধবার রাতে দুর্গাপুরের সগড়ভাঙা ও বৃহস্পতিবার বিকেলে হিরাপুরে এ নিয়ে অশান্তি বাধে। হিরাপুরে ভিন্ রাজ্যের দু’জনকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের মুঙ্গেরের রেলকর্মী জিতেন্দ্র কুমার ও তাঁর বোন সুষমা দেবী বৃহস্পতিবার দুপুরে হিরাপুর গ্রামে এক ব্যক্তির খোঁজে আসেন। পুলিশের কাছে তাঁরা অভিযোগ করেছেন, নিজেকে জমির দালাল বলে পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির মাধ্যমে কয়েক মাস আগে তাঁরা দুর্গাপুরে জমি কেনেন। কিছু দিন আগে তাঁরা জানতে পারেন, জমির নথি জাল। হিরাপুর গ্রামে ওই ব্যক্তির বাড়ি, এই খবর পেয়ে এখানে এসেছিলেন তাঁরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন এলাকায় তাঁদের ইতস্তত ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা আটক করেন। ছেলেধরা সন্দেহে কয়েকজন তাঁদের মারধরও করেন বলে অভিযোগ। জিতেন্দ্রবাবু আহত হন। তিনি বলেন, ‘‘আমি রেলের পরিচয়পত্র দেখাতে চাইলে সেটি ছিঁড়ে ফেলা হয়।’’ পুলিশ দু’জনকে উদ্ধারে গিয়ে বাধা পায়। কোনও রকমে তাঁদের আসানসোল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিবাদে হিরাপুর থানায় বিক্ষোভ দেখান কিছু গ্রামবাসী। পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে তাঁদের তাড়া করে। তিন জনকে আটকও করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ দুর্গাপুরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সগড়ভাঙার নিউ মুসলিমপাড়ায় অচেনা চার জনকে ধারাল অস্ত্র হাতে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেন বাসিন্দাদের একাংশ। খবর পেয়ে পুলিশ এলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, এলাকায় ‘ছেলেধরা’ ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ সময়ে এলে তাদের ধরা যেত। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাঁকুড়া মোড় এলাকায় আবার বহিরাগত এক মহিলাকে ছেলেধরা সন্দেহে কয়েকজন মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। তা দেখে উড়ালপুলের কাছে থাকা কিছু নাবালক চেঁচামেচি শুরু করে। তখন আশপাশের কয়েকজন হামলাকারীদের উপরে পাল্টা চড়াও হন বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ জানায়, গুজবের জেরে আইন হাতে না তুলে নেওয়ার জন্য মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চলছে। তা সত্ত্বেও বারবার এই রকম ঘটনা ঘটছে নানা জায়গায়। কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনা রুখতে ডিসিপি (সদর) অবধেশ পাঠকের নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স গড়া হয়েছে। পুলিশ কমিশনার ডিপি সিংহ জানান, গণপিটুনির অভিযোগে এখনও পর্যন্ত মোট ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy