এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মালদহে মহিলাকে খুনের পর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্তকে পাকড়াও করল জেলা পুলিশ। শনিবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া স্টেশনে ডাউন রাধিকাপুর এক্সপ্রেস থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম আবু তাহের। তাঁকে মালদহ-কাণ্ডের মূল চক্রী বলে মনে করা হচ্ছে। ধৃতকে চাঁচল থানার পুলিশ এসে মালদহে নিয়ে গিয়েছে।
সোমবার সকালবেলা চাঁচলের একটি আমবাগান থেকে উদ্ধার হয় একটি পোড়া দেহ। তীব্র গন্ধ পেয়ে এলাকাবাসীরা আমবাগানে গিয়ে ওই দেহটি দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে আগুন নেভানোরও চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু তত ক্ষণে শরীর সম্পূর্ণ দগ্ধ হয়ে গিয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। কিন্তু দেহ পুড়ে যাওয়ায় এখনও শনাক্ত করা যায়নি মহিলাকে। খবর পেয়ে ওই এলাকায় যান মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সম্ভব জৈন, চাঁচলের এসডিপিও সোমনাথ সাহা, আইসি পূর্ণেন্দু কুন্ডু।
পরে ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরে একটি ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় রক্তমাখা ছুরি। মহিলাকে খুনের পরে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ। জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানান, মহিলার পরিচয় জানতে চেষ্টা চলছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এলাকা থেকে বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। মহিলার ডিএনএ পরীক্ষার পাশাপাশি ফরেন্সিক পরীক্ষারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
যে জায়গা থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেটি মালতীপুরে চাঁচল-২ ব্লক অফিসের কাছেই। সেখানে খড়ের গাদার ভিতরে ছিল দেহটি। পুলিশ সূত্রের খবর, ছুরির পাশাপাশি জুতো, নাকছাবি এবং একটি হার উদ্ধার হয়েছে। পুকুরপাড়ে সিঁদুরও পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। মহিলাকে বৃহস্পতিবার রাতে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে সন্দেহ পুলিশের। মহিলার পরিচয় জানতে পারলেই ঘটনার কিনারা হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy