কুয়োর সমান্তরালে গর্ত খুঁড়ে বালককে উদ্ধার। ছবি: পিটিআই।
কুয়োয় পড়ে যাওয়ার ১৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার হল মধ্যপ্রদেশের বালক। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ ১৪০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে গিয়েছিল বছর দশেকের বালক সুমিত। কুয়োয় পড়ে যাওয়ার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি সেখানে উদ্ধারকারী দল পৌঁছয়।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধাকাজ শুরু করে। কুয়োর ৪০ ফুট গভীরে আটকে ছিল সুমিত। কুয়োর সমান্তরালে ৪০ ফুট গর্ত খুঁড়ে উদ্ধারকারীরা নীচে নামেন। তার পর সারা রাত ধরে সুমিতকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। পাশাপাশি নজর রাখা হচ্ছিল তার যেন কোনও রকম শারীরিক ক্ষতি না হয়। কুয়োর ভিতরে অনবরত অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছিল। রবিবার সকাল হতেই উদ্ধারের গতি আরও বৃদ্ধি করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, সাড়ে ৯টা নাগাদ উদ্ধারকারীরা সুমিতকে সুস্থ অবস্থাতেই কুয়োর উপরে তুলে আনেন। আর তার পরই গোটা গ্রামে স্বস্তির নিশ্বাস পড়ে।
কিন্তু সুমিতকে ১৮ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করা গেলেও রাজস্থানের কোটপুতলির তিন বছরের শিশু চেতনাকে এখনও উদ্ধার করা গেল না কেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে প্রশ্ন ঘুরছে, শিশুটিকে উদ্ধারে আর কত সময় লাগবে? প্রায় ১৫০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। পড়ে যাওয়ার পর এক সপ্তাহ হতে চলেছে। কিন্তু এখনও উদ্ধার করা যায়নি চেতনাকে। পড়ে যাওয়ার চার দিন পর থেকেই শিশুটির নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে সংশয়, শঙ্কা এবং উদ্বেগ আরও বাড়ছে।
গত সোমবার রাজস্থানের কোটপুতলিতে বছর তিনেকের শিশু চেতনা ৭০০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে যায়। সময় যত গড়াচ্ছে, আশঙ্কা ততই বাড়ছে। যদিও কুয়োর সমান্তরালে ১৭০ ফুট গর্ত খুঁড়ে শনিবার উদ্ধারকারী দল নীচে নামার কাজ শুরু করেছে। তবে শিশুটিকে কখন উদ্ধার সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশাসন কিছু বলতে পারেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy