পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের প্রথম বৈঠক। —নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের প্রথম বৈঠকে ডাকা হল না শিক্ষক সংগঠনের নেতৃত্বকে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু করেছেন শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। গোটা বিষয়ে জেলার শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি রাজীব মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘তৃণমূলের জেলা কমিটির বৈঠক আমরা ডাক পাইনি। কিন্তু আগে জেলা কমিটির বৈঠকে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হত।’’ তবে তৃণমূলের দাবি, পরের বৈঠকে ডাকা হবে ওই সংগঠনকে। ফলে অযথাই এ নিয়ে হইচই করা হচ্ছে।
শিক্ষক সংগঠনের সভাপতির আরও দাবি, জিতেন্দ্র তিওয়ারি সভাপতি থাকাকালীন দলের বৈঠকে ডাক পেয়েছেন শিক্ষক নেতারা। তার আগে ভি শিবদাসন জেলার সভাপতি থাকাকালীনও আমন্ত্রিত হতেন শিক্ষকেরা। কিন্তু নতুন জেলা কমিটি গঠনের পর মঙ্গলবারের বৈঠকে শিক্ষকেরা আমন্ত্রণপত্র পাননি। এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শিক্ষক সংগঠনের একাংশ। রাজীবের অভিযোগ, ‘‘পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল আমাদের বিভিন্ন ভাবে বঞ্চনা করছে।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘শিক্ষক সমাজকে কি প্রয়োজন নেই তৃণমূলের?’’ ক্ষুদ্ধ রাজীবের মন্তব্য, ‘‘পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখব না আমরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাত শক্ত করার জন্য সাংগঠনিক ভাবে যতটা পারব, ততটাই কাজ করব।’’
শিক্ষক সংগঠনের ক্ষোভের কথা জানেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলার কো-অডিনেটর ভি শিবদাসন। তিনি বলেন, ‘‘জেলা কমিটির বৈঠক হলেও সেখানে শিক্ষক সংগঠনকে ডাকা হয়নি। তার কারণ, এগুলি হল শাখা সংগঠন। মূল সংগঠন, যুব, মহিলা, ছাত্র ও সংখ্যালঘুদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। পরের যে বৈঠক হবে, সেখানে সমস্ত শাখা সংগঠনকেও ডাকা হবে।’’ শিবদাসন আরও বলেন, ’’শিক্ষক নেতা অশোক রুদ্রকে জেলা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তবে শিক্ষক সংগঠনের নেতৃত্বকে ডাকা হয়নি বলে বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে অযথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জলঘোলা করার কোনও যুক্তি নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy