এই বাসে চলছে মা ক্যান্টিন। দুর্গাপুর বাসস্ট্যান্ডে। নিজস্ব চিত্র।
পরিত্যক্ত ট্রেনের কামরা, বিমানকে রেস্তরাঁ হিসেবে ব্যবহার করতে দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায়। দুর্গাপুরে সেই পথে হেঁটে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের (এসবিএসটিসি) একটি পুরনো বাস ব্যবহার করে চলছে ‘মা ক্যান্টিন’।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর স্টেশন লাগোয়া বাসস্ট্যান্ডে ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুরসভার উদ্যোগে শুরু হয় মা ক্যান্টিন। ৫ টাকার বিনিময়ে দুপুরের খাবার পাওয়া যায়। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কুপন দেওয়া হয়। প্রতিদিন ৩০০ জনের খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। গ্রিল দিয়ে ঘেরা স্থায়ী রান্নাঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা কর্মীরা রান্না করেন। কুপনের বিনিময়ে দুঃস্থদের হাতে শালপাতায় দুপুরের খাবার হিসেবে ভাত, তরকারি, ডিম তুলে দেওয়া হয়। এর পরে দেখা যায়, খাবার হাতে নিয়ে লাইন দিয়ে তাঁরা এগোচ্ছেন একটি এসবিএসটিসি বাসের দিকে। সেই বাসের ভিতরেই বসে খাওয়ার ব্যবস্থা!
বাসস্ট্যান্ডে গেলে দেখা যায়, রং চটা বাসটির সামনের কাচে ধুলো জমে যাওয়া কাগজে আবছা ভাবে লেখা ‘মা ক্যান্টিন’। বাসের পিছনে সিঁড়ির ব্যবস্থা। সিঁড়ি দিয়ে উঠে ভিতরে ঢুকলে দেখা যায়, বসে খাওয়ার জন্য বাসের আসনগুলির সামান্য এ দিক-ও দিক করে স্থায়ী টেবিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক সঙ্গে ২৪ জনের বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা কর্মীরা জানান, রান্নাঘরের পাকা ব্যবস্থা রয়েছে প্রথম থেকেই। তবে খাওয়ার জায়গার সমস্যা ছিল। বাসস্ট্যান্ডে বাস-সহ নানা যানবাহন চলাচল করায় ধুলো ওড়ে। তা ছাড়া, রোদ, বৃষ্টির সমস্যা তো আছেই। তাই প্রকল্প পরিচালনায় যুক্তদের সমস্যার কথা জানানো হয়। এর পরেই বাসের ব্যবস্থা করা হয় বলে দাবি তাঁদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা কর্মী বলেন, “বাসের ব্যবস্থা হওয়ার পরে সমস্যা মিটেছে। বসে খেতে পারেন সবাই। রোদ, বৃষ্টিতেও সমস্যা হয় না।’’
যদিও অনেকে এ ভাবে একটি সরকারি বাসকে খাওয়ার জায়গা হিসেবে ব্যবহারের সমালোচনা করেছেন। তবে প্রকল্পের অন্যতম উদ্যোক্তা তথা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন পুর প্রতিনিধি শিপুল সাহা বলেন, “অকেজো হয়ে পড়েছিল বাসটি। বহু পুরনো বাস। কোনও কাজে লাগত না। তাই বাসটিকে অন্য ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।” এসবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসের ইঞ্জিনটি এখনও চালু আছে। তবে বাসটি রুটে চলার উপযোগী নয়। মা ক্যান্টিনের উদ্যোক্তাদের আর্জি মেনে বাসটি তাঁদের ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy