প্রতীকী ছবি।
একই পদ্ধতিতে আবার গলার হার ছিনতাইয়ের চেষ্টা হল কালনায়। তবে বুধবার সকালে এক বৃদ্ধার চেষ্টায় অভিযুক্তকে ধরে ফেলে জনতা। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের বাড়ি হুগলির বলাগড়ে। তার মোটরবাইকটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে কালনায় মোটরবাইক নিয়ে হার ছিনতাইয়ের প্রথম ঘটনাটি ঘটে। সে দিন সকাল ১০টা নাগাদ কাঁসারিপাড়ার বাড়িতে একা ছিলেন বৃদ্ধা অনুপা বিশ্বাস। তিনি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সময়ে একটি লাল মোটরবাইকে আসা হেলমেট পরা আরোহী জানতে চায়, ‘‘এটা কি অমিত শাহের বাড়ি?’’ অনুপাদেবী জানান, তিনি কোনও উত্তর দিতে চাননি। কিন্তু ফের ঘুরে আসে ওই ব্যক্তি। বাড়ির জানালা দিয়ে কথা বলার ছল করে আচমকা হাত বাড়িয়ে ছিনিয়ে নেয় গলায় থাকা সোনার হার, কালনা থানায় অভিযোগ করেন অনুপাদেবী।
বুধবার ফের একই রকম ঘটনা ঘটে। শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামলালপাড়ায় দোতলা বাড়িতে থাকেন বৃদ্ধা চিত্রা পাল। তিনি জানান, এ দিন ভোরে বাড়ির সামনে ফুল তোলা-সহ নানা কাজ করছিলেন। সেই সময়ে সেখানে এক অপরিচিতকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। সেই ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞাসা করে, ‘‘এটা কি অমিতবাবুর বাড়ি?’’ চিত্রাদেবীর স্বামীর নামও অমিত। তবে তিনি জানান, অপরিচিত যুবককে দেখে প্রথমে তিনি পাত্তা দিতে চাননি। কিন্তু বারবার কাছে এসে কথা বলার চেষ্টা করে ওই যুবক। শেষে এক টানে গলা থেকে হার ছিনিয়ে মোটরবাইক নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।
চিত্রাদেবী জানান, তিনি সঙ্গে-সঙ্গে ধাওয়া করেন। দুষ্কৃতীর জামার কলারও চেপে ধরেন। টানাহেঁচড়ায় খানিকটা জখমও হন। চিত্রাদেবীর ছেলে সুরজিৎ জানান, মায়ের হাত ছা়ড়িয়ে ওই দুষ্কৃতী মোটরবাইকে চেপে পড়লেও তা চালু করতে পারেনি। মোটরবাইক টেনে নিয়েই এগোতে থাকে সে। চিত্রাদেবী পিছু নেন। কিছুটা এগিয়ে তাড়াহুড়োয় মোটরবাইক-সহ পড়ে যায় ওই দুষ্কৃতী। ইতিমধ্যে বৃদ্ধার চিৎকারে প্রতিবেশীরা বেরিয়ে আসেন। তাঁরা অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন। তাঁদের দাবি, হাতেনাতে ধরার আগেই হারটি রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেয় অভিযুক্ত। পরে সেটি উদ্ধার হয়।
একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে অভিযুক্তকে বেঁধে রাখেন স্থানীয় মানুষজন। পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। তদন্ত হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy