কুলটির বেলরুই স্কুলে রবিবার। নিজস্ব চিত্র
চাকরিপ্রার্থীর তুলনায় কম প্রশ্নপত্র এসেছে। ফলে পরীক্ষাই দিতে পারেননি অনেকে। এই অভিযোগে রবিবার কুলটির বেলরুই স্কুলে উত্তেজনা ছড়াল। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। আসেন জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকেরাও। তাঁদের হস্তক্ষেপে ঘণ্টাখানেক পরে বাকি প্রশ্নপত্র আনা হয়। কিন্তু ততক্ষণে পরীক্ষা বয়কট করে অনেকেই কেন্দ্র ছেড়ে বেড়িয়ে যান। তাঁরা পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানান।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ছিল পিএসসি-র খাদ্য সরবরাহ দফতরের সাব ইনস্পেক্টর পদের পরীক্ষা। সেই মতো কুলটির ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে চারশো জন চাকরিপ্রার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। দুপুর ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষা শুরুর সময় দেখা যায় মাত্র একশোটি প্রশ্নপত্র এসেছে। বাকি তিনশো চাকরিপ্রার্থী প্রশ্নপত্র পাননি। এর পরেই তাঁরা পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যেতে চান। নবীন গুহ নামে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘‘সময়মতো প্রশ্নপত্র পাইনি। তাহলে পরীক্ষা দেওয়ার কোনও অর্থই নেই। পরীক্ষা বাতিল করা হোক।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাকরিপ্রার্থীদের দাবি না মেনে কর্তৃপক্ষ স্কুলের গেট বন্ধ রেখে চাকরিপ্রার্থীদের অপেক্ষা করতে অনুরোধ করেন। তবে তাতেও বিক্ষোভ থামেনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস। তিনিও চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। খানিক বাদে ঘটনাস্থলে পৌঁছন অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রশান্ত মণ্ডল। তিনি বাকি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য প্রশ্নপত্র আনার বিষয়ে উদ্যোগী হন। বিকেল ৩টে নাগাদ প্রশ্নপত্র আনা হয়। ঠিক হয়, বিকেল সাড়ে ৩টে থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রশান্তবাবু নিজে বাকি পরিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসার অনুরোধ করেন। তবে ৮৬ জন বাদে বাকিরা আর পরীক্ষা দেননি বলে জানান চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদেরই এক জন কৃষ্ণা বাউড়ি বলেন, ‘‘সময়মতো প্রশ্নপত্র আসেনি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার দু’ঘণ্টা বাদে ফের শুরু হওয়ায় পরীক্ষায় বসতে চাই না। তাই পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসেছি।’’
বিষয়টি নিয়ে প্রশান্তবাবু বলেন, ‘‘প্রশ্নপত্র দেরিতে এসেছিল। পিএসসি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে বাকিদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। কোনও সমস্যা হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy