বিক্ষোভ সিটিসেন্টারে হাউসিং কলোনিতে। নিজস্ব চিত্র।
শহরের অভিজাত এলাকা বলে পরিচিত সিটি সেন্টারে সরকারি হাউসিং কলোনিতে পথবাতি জ্বলে না বহু বছর ধরে। সন্ধ্যায় আঁধারে ডুবে যায় এলাকা। পুরসভা ও প্রশাসনের কাছে বার বার জানিয়েও ফল হয়নি। এমন অভিযোগ তুলে শনিবার সন্ধ্যায় মোমবাতি নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করলেন সেখানকার আবাসিকেরা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কলোনি আবাসন দফতরের অধীন। পুরসভার প্রশাসক তথা স্থানীয় ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন পুর-প্রতিনিধি অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওখানে রাস্তা তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। আলোর বিষয়টি সুযোগ পেলেই ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’’
সিটি সেন্টারে সরকারি হাউসিং কলোনির সি এবং ডি টাইপ কোয়ার্টার্সের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, সন্ধ্যা নামলেই আঁধারে ডুবে যায় তাঁদের এলাকা। গত ৭-৮ বছর ধরে একটি পথবাতিও জ্বলে না। ফলে, সন্ধ্যা নামলে তাঁরা বিপাকে পড়েন। রাতে ছেলেমেয়েদের টিউশনে যেতে, বাজার যাতায়াতে বা অন্য কাজে
যেতে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। তা ছাড়া গ্রীষ্মে এলাকায় সাপের উপদ্রব বাড়ে। ফলে, সন্ধ্যার পরে রাস্তায় বেরোতে হয় আতঙ্ক নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে পুরসভা, প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও ফল না হওয়ায় এখানকার বাসিন্দারা শনিবার
সন্ধ্যায় মোমবাতি হাতে প্রতিবাদ মিছিল করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা রত্না সাহা, ডলি মণ্ডলদের অভিযোগ, অন্ধকারে বহিরাগতেরা আবাসনের ভিতরে ঢুকে পড়ে। নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগতে হয় তাঁদের। কেউ অসামাজিক কাজ করে পালিয়ে গেলেও অন্ধকারে চেনা যাবে না। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘সিটি সেন্টারের মতো আলো ঝলমলে এলাকায় আমরা কার্যত বিচ্ছিন্ন
দ্বীপের মতো বাস করি। আমাদের আত্মীয়েরা এসেও অবাক হয়ে যান! সন্ধ্যার পরে হাতে টর্চ নিয়ে না বেরোলে উপায় থাকে না।’’ সিটি সেন্টারের প্রবীণ বাসিন্দা পরিমল অগস্তি বলেন, ‘‘ওই আবাসনের বাসিন্দারা চরম দুর্দশায় রয়েছেন। বিশেষ করে ছেলেমেয়েদের নিয়ে মায়েরা সন্ধ্যার পরে বিপাকে পড়েন। হেঁটে যাতায়াত করা বিভীষিকার সামিল। দ্রুত ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy