কোথাও যথেষ্ট সংখ্যায় বন্যা ত্রাণ শিবির, ‘অ্যান্টিভেনাম’ ওষুধ নেই। কোথাও বা বেহাল নদী বাঁধ। বর্ষার আগে এমনই হাল কাটোয়ার বিভিন্ন ব্লকের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনের। বুধবার মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে এমনই নানা অভিযোগ জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন বিডিও-রা।
ওই বৈঠকে ছিলেন মহকুমাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি, এসডিপিও সায়ক দাস, মহকুমা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন আধিকারিক বামদেব সরখেল, অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কবিতা শাসমল, পাঁচটি ব্লকের বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, ভূমি ও ভূমি সংস্কার এবং সেচ দফতরের কর্তারা। সেখানেই মঙ্গলকোটের বিডিও সায়ন দাশগুপ্ত জানান, ব্লকের চারটি বন্যা ত্রাণ শিবিরের সংস্কার দরকার। ব্লকে আপাতত ৫০ কুইন্ট্যাল খাবার ও দু’হাজার লিটার কেরোসিন মজুত রয়েছে বলেও জানান তিনি। কেতুগ্রাম ২-র বিডিও অর্ণব সাহার অভিযোগ, দীর্ঘ দিন সংস্কারের অভাবে ভাগীরথীর বাঁধ বেহাল। ফলে সীতাহাটি ও মৌগ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশ এলাকা গঙ্গার একেবারে কাছে চলে এসেছে। বন্যা হলে সাতটি পঞ্চায়েতের ছ’টিই ডুবে যাবে বলে আশঙ্কা তাঁর। অর্ণববাবুর দাবি, ‘‘মৌগ্রামে বন্যা ত্রাণ শিবির, যথেষ্ট সংখ্যায় ত্রিপল ও ‘অ্যান্টিভেনাম’ ওষুধ দরকার।’’ রসুই ও বিল্লেশ্বরে অজয়ের বাঁধেরও সংস্কার প্রয়োজন।
পানুহাট, একাইহাটে নিকাশি এবং সুনিয়া ও শ্রীরামপুরে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানান কাটোয়া ১-র বিডিও মহম্মদ মারগুব ইলমি। কাটোয়া ২-র বিডিও শিবাশিস সরকারের অভিযোগ, ‘‘এলাকায় দু’টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও চিকিৎসকের দেখা মেলা ভার।’’ চরকবিরাজপুর, বাবলাডাঙায় জল ঢুকলে তা বেরনোর জায়গা থাকে না বলে অভিযোগ। তাঁর দাবি, ‘‘বিপর্যয় মোকাবিলায় ব্লক অফিসে দু’জন কনস্টেবল নিযুক্ত করা হোক।’’ কেতুগ্রাম ১-এ বাঁধ সংস্কার করতে সেচ দফতরের সাহায্য চান বিডিও অরূপকুমার মণ্ডল।
মহকুমাশাসক ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যথেষ্ট সংখ্যায় ‘অ্যান্টিভেনাম’, বিশুদ্ধ জলের পাউচ, পশুখাদ্য, অত্যাবশকীয় পণ্য, ৫০০০ লিটার কেরোসিন মজুত রাখার নির্দেশ দেন। সেচ দফতরের কর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বাঁধগুলির দুর্বল অংশ পরিদর্শনের জন্যও বিডিওদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy