Advertisement
E-Paper

রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী, বার বার ঘটছে দুর্ঘটনা

রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারীদের অভিযোগ, এক-এক জায়গায় রাস্তার প্রায় অর্ধেক অংশ জুড়ে নির্মাণ সামগ্রী রাখা।

রাস্তা সংস্কার করার জন্য মোড়ে জমিয়ে রাখা রয়েছে নির্মাণ সামগ্রী। এর জন্য দুর্ঘটনা বলে দাবি স্থানীয়দের।

রাস্তা সংস্কার করার জন্য মোড়ে জমিয়ে রাখা রয়েছে নির্মাণ সামগ্রী। এর জন্য দুর্ঘটনা বলে দাবি স্থানীয়দের। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের লাউদোহা থেকে উখড়া যাওয়ার রাস্তায়। ছবি: বিকাশ মশান

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৪৬
Share
Save

রাস্তা সংস্কারের জন্য আনা নির্মাণ সামগ্রী রাস্তার উপরে রাখা। এর ফলে, লাউদোহা থেকে উখড়া পর্যন্ত সাত কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তায় ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার অদূরে, একটি বাঁকের কাছে বার বার দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর একাংশের।

পূর্ত দফতর রাস্তাটি সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। স্থানীয়েরা জানান, সে জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকা সংস্থা নির্মাণ সামগ্রী রাস্তার উপরেই রেখেছে। ফরিদপুর থানার ৫০ মিটার দূরে একটি বাঁকের কাছে এমন ভাবে পাথরকুচি ফেলে রাখা হয়েছে যে, দূর থেকে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। রাস্তার রঙের সঙ্গে পাথরকুচির রং মিশে গিয়েছে। সেখানে আসার পরে আচমকা সামনে পাথরকুচি দেখে অনেকেই মোটরবাইক, স্কুটারের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন না।

রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারীদের অভিযোগ, এক-এক জায়গায় রাস্তার প্রায় অর্ধেক অংশ জুড়ে নির্মাণ সামগ্রী রাখা। অভিযোগ, সোমবার পড়ে থাকা নির্মাণ সামগ্রী এড়িয়ে যেতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরবাইক থেকে পড়ে জখম হন লাউদোহার বাসিন্দা রাজা মুখোপাধ্যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন শেখ মজিবুল নামে ৫১ বছরের এক ব্যক্তি। আরও আট-দশ জন দুর্ঘটনায় কম-বেশি চোট পেয়েছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন স্থানীয় বাসিন্দা সন্তোষ দেওয়াসি। তিনি বলেন, “যে ভাবে রাস্তার উপরে চিন্তা-ভাবনা না করে নির্মাণ সামগ্রী মজুত করা হয়েছে, তাতে যে কেউ দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারেন। দ্রুত এ সব সরিয়ে রাস্তার ধারে রাখা হোক।” মোটরবাইক চালকেরা জানান, বড় গাড়ি যাতায়াত করলে পাথরকুচি ছিটকে আসছে। জখম শেখ মজিবুলের এক আত্মীয় ইতিমধ্যেই বিষয়টি থানায় জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। পুলিশ বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। কথা বলা যায়নি ঠিকা সংস্থার সঙ্গে। এ দিকে, জেলা পরিষদের স্থানীয় সদস্য তথা কর্মাধ্যক্ষ (খাদ্য) সুজিত মুখোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “বিষয়টি শুনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থানেওয়া হবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Laudoha Road accidents

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}