গাঁধীগিরি: গলিগ্রামে সচেতনতা প্রচার। নিজস্ব চিত্র
যেন ভালবাসার শাসন! হেলমেট না পরা, সিটবেল্ট না বাঁধা মোটরবাইক আরোহী থেকে গাড়ির চালককে গোলাপ ফুল ও মিষ্টির প্যাকেট দিয়ে সচেতন করার চেষ্টা চালালেন পুলিশ, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।
রবিবার ২ নম্বর জাতীয় সড়কের গলসির গলিগ্রামে ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়। উদ্যোক্তা গলসি ১ নম্বর ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতি। স্থানীয় বিধায়ক, পুলিশ আধিকারিকরাও তাতে সামিল হন। তাঁরা জানান, মানুষকে সচেতন করতেই এমন ভাবনা।
গত ক’দিন ধরে জেলায় দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। পরপর দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। শনিবারই বর্ধমানের রথতলায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ‘শনির দশা’ কাটাতে রাস্তাতেই পুজোর আয়োজন করেন বর্ধমানের রথতলা-লাকুরডি এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। সক্রিয় হয়েছে পুলিশ, প্রশাসনও। নানা উপায়ে প্রচারও শুরু হয়েছে। এ দিনের কর্মসূচি তারই অঙ্গ বলে জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।
গলসি ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় জানান, বিনা হেলমেটে মোটরবাইক চালিয়ে, সিটবেল্ট না বেঁধে বহু চার চাকা গাড়ির চালক এ দিন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই গাড়িগুলি থামিয়ে প্রথমে চালকদের সচেতনতার পাঠ দেওয়া হয়। তারপরেই তুলে দেওয়া হয় একটি গোলাপ ফুল। সঙ্গে মিষ্টির প্যাকেট। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় একশো জনকে ফুল, মিষ্টি দেওয়া হয়েছে। তবে বেশ কিছু গাড়ি থেকে জরিমানাও আদায় করা হয়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, পথ নিরাপত্তায় জোর দিতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। কেননা, চালকেরা সচেতন হলে দুর্ঘটনা কমতে পারে। কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন গলসির বিধায়ক অলোক মাঝি। তিনি বলেন, ‘‘কেউ গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলে, পরিবারের সকলে তাঁর বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় থাকেন। সে কথাও চালকদের এ দিন মিষ্টির প্যাকেট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া হয়।’’
এ দিন বুদবুদ থেকে মোটরবাইকে গলসি যাচ্ছিলেন সপ্তর্ষি মণ্ডল ও তাঁর এক বন্ধু। নিজের মাথায় হেলমেট থাকলেও, বন্ধুর মাথায় কোনও হেলমেট ছিল না। সপ্তর্ষিবাবুর কথায়, ‘‘যেখানে যাই, হেলমেট পড়েই যাই। কিন্তু পিছনের আরোহীর হেলমেটের কথা মনে ছিল না।’’ এ দিন প্রশাসনের গাঁধীগিরি থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে ওই ভুল না করারও অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy