সরকারি জমি দখল করে নির্মাণ তৈরির অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠছিল বাড়ি। সেই অবৈধ নির্মাণকাজ বন্ধ করে দু’জনকে আটক করল পুলিশ। বর্ধমান শহরের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই প্রথম বার নয়। এর আগেও ওই অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করার জন্য গত ২৪ মার্চ ওই জায়গায় গিয়েছিলেন প্রশাসনের লোকজন। কাজ বন্ধ করে দিয়ে নির্মাণের কাগজপত্র দেখানোর জন্য নোটিস দেয় পুরসভা। অভিযোগ, তার জবাব দেওয়া তো দূরের কথা, পুরসভার নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
সেই খবর পেয়ে শুক্রবার বর্ধমান শহরের পুরপিতা পরেশচন্দ্র সরকার এবং বর্ধমান থানার পুলিশ অভিযান চালায়। তাতে দু’জনকে আটক করে পুলিশ।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বর্ধমান শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদরঘাট পুরাতন বাজার এলাকায় একটি সরকারি জমির উপর দোতলা বাড়ি তৈরি হচ্ছিল। এর আগে যখন পুরসভার প্রতিনিধিরা ওই স্থানে গিয়েছিলেন, তখন দোতলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। পুরপ্রধান সেই কাজ বন্ধ করে দেন। তবে বাড়ির মালিক বিশ্বজিৎ ভকতের দেখা মেলেনি সে দিন। শুক্রবার পুরসভার কাছে খবর আসে যে তাদের নির্দেশ অমান্য করে নির্মাণের কাজ আবার শুরু হয়েছে। ওই খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান পুরসভার লোকজন। পরেশ বলেন, ‘‘সরকারি জায়গা দখল করে বেআইনি ভাবে বাড়ি করার অভিযোগ উঠেছিল বিশ্বজিৎ ভকতের বিরুদ্ধে। আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে তাঁকে বার বার সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বললেও তিনি দেখা করেননি। উল্টে পুরসভার নির্দেশ অগ্রাহ্য করে তিনি আবার কাজ শুরু করেছিলেন। আজ আমরা বর্ধমান থানার পুলিশকে নিয়ে অভিযান চালিয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’ কিন্তু, শুক্রবারও বাড়ির মালিকের দেখা মেলেনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নাড়ু ভকতের আত্মীয় বিশ্বজিৎ। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ আছে, পরিচয় যা-ই হোক, অবৈধ নির্মাণের ক্ষেত্রে কাউকে ছাড়া হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy