কম্বলকাণ্ডে আটক আসানসোলের বিজেপি কাউন্সিলর অমিত তুলসিয়ান। — নিজস্ব চিত্র।
কম্বলকাণ্ডে রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করেছেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ঠিক সেই দিনেই আসানসোলের বিজেপি কাউন্সিলরকে আটক করল পুলিশ। পাশাপাশি, জিতেনের ফ্ল্যাটেও আবার নোটিস সাঁটিয়ে এসেছে পুলিশ।
আসানসোলে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় পুরনিগমের তিন বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি, গৌরব গুপ্ত এবং অমিত তুলসিয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার প্রাথমিক ভাবে অমিতকে আটক করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিয়ে যায় আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অমিতও। এর পাশাপাশি, বিজেপি নেতা জিতেনের বাড়িতে দুপুরে আরও একটি নোটিস সাঁটিয়ে এসেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। সোমবারও জিতেনের বাড়িতে নোটিস দিয়েছিল পুলিশ। মঙ্গলবার ৭ পুলিশ আধিকারিকের একটি দল চৈতালিকে জিজ্ঞাসাবাদও করতে যায়। কিন্তু তাঁদের ফ্ল্যাট বন্ধ থাকায় ঘণ্টাখানেক পর ফিরে যায় পুলিশ।
তবে বিষয়টি নিয়ে জিতেন তাঁর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন টুইটে। লিখেছেন, ‘‘ছেড়ে যাব না এই বাংলাকে। জন্ম হয়েছে এই বাংলার মাটিতে, মৃত্যুবরণ করব বাংলা মায়ের কোলে। আসানসোলের তৃণমূল নেতারা যা পারবে কর।’’
জিতেনের এই আবেগঘন টুইটের উত্তরে তৃণমূল নেতা ভি শিবদাসন (দাশু) বলেন, ‘‘উনি সহানুভূতি কুড়োনোর চেষ্টা করছেন। ভিড় বাড়ানোর জন্য বাইরে থেকে লোক এনেছিলেন কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে। পাশাপাশি ভিড় বাড়াতে শিবচর্চার মতো অনুষ্ঠানও করেছিলেন। অত লোক যখন হাজির হয়েছিল তখন নিয়ন্ত্রণ করার দরকার ছিল। প্রবীণ নেতা কারও থাকার দরকার ছিল। কিন্তু নেতারা অনুষ্ঠান ছেড়ে যেতেই সকলে চলে গিয়েছিলেন। এটা হত্যা।’’
জিতেন জায়া চৈতালিকে দ্বিতীয় যে নোটিস পুলিশ দিয়েছে তাতে লেখা হয়েছে, আগামী ২২ ডিসেম্বর সকাল ১০টা নাগাদ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বাড়িতে যাবেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁকে বাড়িতে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চৈতালি এবং জিতেন ইতিমধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টে রক্ষাকবচের আবেদন করেছেন, যার শুনানি রয়েছে আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy