বরাকর স্টেশন রোডে। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
পানীয় জলের দাবিতে শনিবার সকালে বরাকর স্টেশন রোড অবরোধ করলেন এলাকাবাসীর একাংশ। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ঘণ্টাখানেক অবরোধ চলে।
বরাকর স্টেশন রোড লাগোয়া অঞ্চলের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, গত তিন দিন ধরে চরম জল-সঙ্কট তৈরি হয়েছে এলাকায়। পুরসভা ও স্থানীয় কাউন্সিলরকে বারবার সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়েও লাভ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ নিমা কলোনি, স্টেশন রোড, সরিফ গলি-সহ আরও কিছু এলাকার প্রায় শতাধিক বাসিন্দা স্টেশন রোড অবরোধ শুরু করেন। অবরোধ চলাকালীন করোনা-সতর্কতায় সামাজিক দূরত্ববিধি রক্ষিত হয়নি বলে অভিযোগ। অবরোধের জেরে, ওই রাস্তায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। যাত্রীরা চরম সমস্যায় পড়েন। বরাকরের ব্যবসায়ী আড়তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী তোলা-নামানোর ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয়।
অবরোধকারীদের অভিযোগ, দিন তিনেক আগে পারশ মার্কেট এলাকায় জলের পাইপলাইনে একটি ভাল্ভ বসানো হয়। তার পরে থেকেই বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয় জল-সঙ্কট। কল থেকে সুতোর মতো জল পড়ছে। দীর্ঘক্ষণ কলতলায় দাঁড়িয়েও দু’বালতি জল পেতে সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা ইমতিয়াজ আনসারির দাবি, ‘‘ভাল্ভ খুলে পাইপলাইনটি আগের অবস্থায় ফেরানো হোক।’’ এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, বিষয়টি স্থানীয় ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অজিত বাউড়িকে জানানো হলেও লাভ হয়নি। তবে অজিতবাবুর দাবি, ‘‘সমস্যার কথা শুনেই আমি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে আলোচনা করছি। দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।’’
অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। আসানসোল পুরসভার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলে এলাকাবাসী অবরোধ তোলেন। তবে, তাঁদের হুঁশিয়ারি, আজ, রবিবারের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে লাগাতার অবরোধ শুরু করবেন।
এ দিকে, বিষয়টি নিয়ে পুরসভার মেয়র পারিষদ (জল) পূর্ণশশী রায় জানান, কুলটি জল প্রকল্পের অন্তর্গত বরাকরের ৬৭, ৬৮ ও ৬৯—এই তিনটি ওয়ার্ডে নতুন পাইপলাইন পাতা হয়েছে। সব এলাকার বাসিন্দারা যাতে পর্যাপ্ত জল পান, তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন অঞ্চলকে ভাগ করে একাধিক ভাল্ভ বসানো হয়েছে। তাই প্রাথমিক ভাবে জল সরবরাহে কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে পূর্ণশশীবাবুর আশ্বাস, ‘‘পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারেরা বিষয়টি দেখছেন। দ্রুত সমস্যা মিটবে।’’
পুরসভা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বরাকরের লক্ষ্মীয়াবাঁধ, হাসপাতাল রোড, আড়াডাঙাল-সহ বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা মাস কয়েক আগেও চরম জলকষ্টে ভুগছিলেন। এই মুহূর্তে অবশ্য নতুন পাইপলাইন ও ভাল্ভ বসানোর পরে, ওই সব এলাকায় জল-সমস্যা মিটেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy