প্রতীকী ছবি।
দরজায় শিকল তুলে সাড়ে তিন বছরের দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে দেওয়ানদিঘির থানার পুলিশ। ধৃত ভীম মালিকের বাড়ি মন্তেশ্বরের বেলেঝুড়ি গ্রামে। রবিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সোমনাথ দাস তাকে আজ, সোমবার পকসো আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালে মনসা পুজো উপলক্ষে দেওয়ানদিঘির নেড়াগোহালিয়া গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে শিশুদুটিকে নিয়ে এসেছিলেন তাদের বাবা-মায়েরা। রাতে তাদের দোতলার ঘরে ঘুম পাড়িয়ে নীচে আত্মীয়দের সঙ্গে খেতে বসেছিলেন তাঁরা। এক শিশুর মায়ের অভিযোগ, “খাওয়ার সময় এক জনের কান্নার আওয়াজ শুনতে পাই। খাট থেকে পড়ে গেল ভেবে দোতলায় উঠি। দরজা বন্ধ দেখে ভয় লাগে। চিৎকার করে উঠি।’’ তাঁর চিৎকার শুনেই বাড়ির অন্য সদস্যেরা দোতলায় উঠে আসেন। খুন্তি দিয়ে ভিতর থেকে বন্ধ করা দরজার শিকল খোলা হয়। অভিযোগ, ভিতরে ঢুকেই তাঁরা দেখেন শিশু দুটি রক্তাক্ত। ঘরের এক কোণে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভীম। সেও ওই পরিবারেরই আত্মীয়। অভিযোগ, দরজা খুলতেই সে ছুটে পালাতে যায়। তবে বাকিরা তাকে ধরে ফেলেন। মারধর করা হয়।
শিশু দু’টি আপাতত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের জন্যে তাদের পোশাক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাদের বয়ানও নথিভুক্ত করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, দু’জনেই ভয় না পেয়ে সমস্ত ঘটনার কথা খুলে বলেছে। শিশু দু’টির কান্নার আওয়াজ শুনে দোতলায় উঠে আসা বাড়ির অন্য সদস্যদেরও বক্তব্য পুলিশ রেকর্ড করেছে। ধৃতের মেডিক্যাল পরীক্ষাও হয়েছে এ দিন। তার বিরুদ্ধে ১২ বছরের নীচে শিশুকে ধর্ষণ (৩৭৬ এবি) ও পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, অভিযোগ প্রমাণ হলে বিচারক দোষীকে আমৃত্যু কারাদন্ড, এমনকি ফাঁসির সাজাও শোনাতে পারেন। গত ১৫ জুন পকসো আদালত এ রকমই একটি মামলায় বর্ধমান শহরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের আদিবাসি পাড়ার অশোক তুড়িকে আমৃত্যু কারাদন্ড দেন। সে এক নাবালিকাকে বাঁকার পাড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে আদালতে প্রমাণ হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy