Advertisement
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
Water Supply

নতুন বছরেই আট ব্লকে সেচের জল

গত বার ৫টি ব্লকে জল পৌঁছেছিল, এ বার আরও তিনটে ব্লকে জল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সেচ দফতর।

পূর্ব বর্ধমানে ৩৭ হাজার একর জমিতে জল দেবে ডিভিসি।

পূর্ব বর্ধমানে ৩৭ হাজার একর জমিতে জল দেবে ডিভিসি। —প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:০৪
Share: Save:

গত মরসুমের চেয়ে এ বার বোরো চাষে ১০ হাজার একর বেশি জমিতে জল পৌঁছবে বলে জানা গিয়েছে। গত বার ৫টি ব্লকে জল পৌঁছেছিল, এ বার আরও তিনটে ব্লকে জল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সেচ দফতর।

পূর্ব বর্ধমানে ৩৭ হাজার একর জমিতে জল দেবে ডিভিসি। একই সঙ্গে বোরোয় পিবিসি (পানাগড় ব্রাঞ্চ ক্যানাল) দিয়ে জল ছাড়ার সিদ্ধান্তে আউশগ্রাম ১, ২ এবং মেমারি ১ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার চাষিরা উপকৃত হবেন। কৃষি দফতর জানিয়েছে, এ বছর ১ লক্ষ ৭৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্য রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে সেচখালের মাধ্যমে জল পেলে চাষের গতি বাড়বে। মঙ্গলবার জেলা পরিষদে এ নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে ঠিক হয়েছে কোন কোন খাল দিয়ে এ বার রবি ও বোরো চাষের জন্য জল ছাড়া হবে।

সেচ দফতরের এক কর্তা বলেন, “জলাধারে জল তুলনামূলক কম রয়েছে। তবে গত বারের চেয়ে জল বেশি থাকায় এ বার ৩৭ হাজার একর জমিতে জল দেওয়া হবে।” সিদ্ধান্ত হয়েছে, রবি চাষের জন্য ৫ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন বার প্রয়োজন মতো জল ছাড়া হবে। বোরোর জন্য ২৫ জানুয়ারি থেকে জল দেবে ডিভিসি। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সেচখালগুলিতে জল যাবে। বোরো চাষের জল টানা ১০ দিন দেওয়া হবে, তার পরে ৮ দিন বন্ধ থাকবে। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (সেচ) মেহেবুব মণ্ডল বলেন, “এ বার দুর্গাপুর ব্যারাজের বাঁ দিকের মূল খাল থেকে পিবিসি খাল হয়ে জল গলসির পুরষায় আসবে। সেখান থেকে মেমারি ১ ব্লকের পাল্লা পর্যন্ত যাবে। পাল্লায় গিয়ে জল একটি খাল দিয়ে জামালপুরের হালাড়া হয়ে হুগলিতে, অন্যটি মেমারির ছিনুই হয়ে হুগলিতে যােব।”

সেচ দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এলবিএমসি (লেফট ব্যাঙ্ক মেন ক্যানাল), ডিবিসি (দুর্গাপুর ব্রাঞ্চ ক্যানাল), পিবিসি, নিউ গাঙ্গুর ও বেহুলা খাল, ইডেন খাল, ব্রাঞ্চ ১ ও ২ খাল, কানা নদী, কানা দামোদর, নেভিগেশন ক্যানাল, ওল্ড গাঙ্গুর খালের মধ্যে দিয়ে রবি চাষের জল দেওয়া হবে। বোরোর জল দেওয়াহবে এলবিএমসি (দুর্গাপুর থেকে পুরষা ও পুরষা থেকে পাল্লা), পুরনো ডিএমসি, পিবিসি (মালদাপাড়া পর্যন্ত), ইডেন খাল (পাল্লা থেকে হারালা), নিউ গাঙ্গুর (পাল্লা থেকে ছিনুই), কানা নদী (ছিনুই থেকে হিরানাগ্রাম), কানা দামোদর (হারালা থেকে মনিরামবাটি), পুরনো গাঙ্গুর খাল, নেভিগেশন ক্যানেল দিয়ে। সেচ দফতর সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১ লক্ষ ৭১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছিল। এ বছর ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বাড়তি চাষের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। উপ-কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) নকুলচন্দ্র মাইতি বলেন, “এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর বীজতলা হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বোরো চাষের জন্য আদর্শ সময়।”

অন্য বিষয়গুলি:

DVC Irrigation department
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy