তারাপিঠে যাওয়ার পথে বর্ধমানে ডাকাতির মুখে দমদম ক্যান্টনমেন্টের পরিবার। —প্রতীকী চিত্র।
তারাপীঠে ঘুরতে যাওয়ার পথে ডাকাতির শিকার দমদম ক্যান্টনমেন্টের পরিবার। শিশুর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাদের ‘সর্বস্ব’ লুট করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বুধবার ভোরে এক জনকে গ্রেফতার করে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশ। তাঁকে আদালতে হাজির করানো হলে ছ’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দমদম ক্যান্টনমেন্টের নজরুল সরণির বাসিন্দা শঙ্কর চক্রবর্তী। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে পরিবার নিয়ে তিনি গাড়ি করে তারাপীঠে যাচ্ছিলেন। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে রাত ২টো ৪৫ মিনিট নাগাদ তাঁরা ডাকাতদের কবলে পড়েন। অভিযোগ, তিন থেকে চার জন দুষ্কৃতী তাঁদের গাড়ি আটকায় মেমারি থানা এলাকার কানাইডাঙা মোড়ের কাছে। আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছুরি দেখিয়ে গাড়িতে লুটপাট চালায় তারা।
পুলিশকে অভিযোগকারী জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে থাকা এক শিশুকে আক্রমণ করেছিল দুষ্কৃতীরা। তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বাকিদের ভয় দেখানো হয়েছিল। ফলে বাধ্য হয়ে তাঁরা সোনার গয়না এবং নগদ অর্থ দুষ্কৃতীদের হাতে তুলে দেন। পরের দিন দুপুরে মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।
অভিযোগের ভিত্তিতে সে দিনই তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিছু সন্দেহজনক মোবাইল নম্বরের হদিস পায় তারা। সেই সূত্র ধরে বুধবার গ্রেফতার করা হয় ছোট্টু দাস নামের এক যুবককে। বর্ধমান শহরের তিনকোনিয়া গুডস শেড রোডের বাসিন্দা ছোট্টু। পুলিশি জেরায় তিনি লুটপাটের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। আরও অনেকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে তদন্তকারীদের জানিয়েছেন তিনি।
ছোট্টুকে বুধবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। পুলিশ তাঁকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছিল। কিন্তু আদালত তাঁর ছ’দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছে। এখনও লুট হওয়া গয়না এবং টাকা উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অন্য অভিযুক্তদেরও সন্ধান চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy