Advertisement
E-Paper

বেতন ১৩ হাজার, চড়ছেন বিএমডব্লিউ! সরকারের ২১ কোটি কোন কৌশলে হাতিয়েছেন যুবক? ফাঁস

অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেরও নজর এড়ায় না বিষয়টা। তদন্ত করে জানা গেল, সরকারি তহবিল থেকেই ২১ কোটি ৫৯ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা হাতিয়েছেন যুবক। এক পরিচিতের সঙ্গে পরিকল্পনা করে কোটি কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

Maharashtra contractual employee stole 21 crores from government

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:০৭
Share
Save

বিএমডব্লিউ চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এলাকায়। গ্যারাজে রয়েছে একটি বিএমডব্লিউ বাইকও। শুধু তা-ই নয়, বান্ধবীকে একটি চার কামরার বিলাসবহুল ফ্ল্যাটও উপহার দেন! কাটাতেন আরামদায়ক জীবন। দিন কয়েকের মধ্যেই আমূল বদলে যায় এক সরকারি চুক্তিভিত্তিক কর্মীর জীবনযাপন। তা দেখেই হতবাক পরিচিতেরা। কারণ খুঁজতে গিয়ে প্রকাশ্যে এল অবাক করা কাণ্ড। সরকারেই ২১ কোটি হাতিয়ে গাড়ি-বাড়ি করে জাঁকিয়ে বসেছিলেন হর্ষকুমার ক্ষীরসাগর নামে এক যুবক।

হর্ষের বেতন মাত্র ১৩ হাজার টাকা। প্রায় রাতারাতি জীবনযাপন বদলে যাওয়ায় সন্দেহ হয় সকলের। অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেরও নজর এড়ায় না বিষয়টা। তদন্ত করে জানা গেল, সরকারি তহবিল থেকেই ২১ কোটি ৫৯ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা হাতিয়েছেন হর্ষ। এক পরিচিতের সঙ্গে পরিকল্পনা করে কোটি কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে ছত্রপতি সম্ভাজিনগরের বিভাগীয় স্পোর্টস কমপ্লেক্সের অর্থ নিজেদের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে ফেলেছিলেন তাঁরা। সাইবার প্রতারণার মাধ্যমেই খুব কৌশলেই বিষয়টি সেরেছিলেন দু’জনে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।

হঠাৎ প্রচুর টাকা পেয়ে গাড়ি-বাড়ি করেই ধরা পড়ে গেলেন হর্ষ। জানা গিয়েছে, তিনি চুরি করা অর্থ দিয়ে মুম্বই বিমানবন্দরে ঠিক বিপরীতেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনেন। তা উপহার দেন বান্ধবীকে। বিএমডব্লিউ গাড়ি এবং বাইক কেনেন। এমনকি, শহরের এক বিখ্যাত জুয়েলার্সের দোকান থেকে হিরেখচিত চশমাও কিনেছিলেন। যা পরে ঘুরে বেড়াতেন সব সময়। শুধু হর্ষ নন, এই জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত অন্য এক মহিলা চুক্তিভিত্তিক কর্মীর স্বামী ৩৫ লক্ষের এসইউভি কিনেছিলেন।

জানা গিয়েছে, স্পোর্টস কমপ্লেক্সের নামে ‘ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কে’ একটি অ্যাকাউন্ট ছিল। সরকারি তহবিলের জন্য ব্যবহার করা হত সেটি। এই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লেনদেনের জন্য ডেপুটি স্পোর্টস ডিরেক্টরের স্বাক্ষরিত চেকের প্রয়োজন। অভিযুক্তেরা সেই স্বাক্ষর এবং নথি জাল করেন। তার পর সেই জাল নথি ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে ২১ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে হাতিয়ে নিলেন হর্ষেরা।

Fraud Case Maharashtra Government Emplyee

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}