আতঙ্কের কারণ। নিজস্ব চিত্র।
কালো রঙের হৃষ্টপুষ্ট চেহারা। মেজাজ সব সময় চড়া। হামলা চালাচ্ছে সুযোগ পেলেই। কালনা শহরের অলিগলিতে দাপিয়ে বেড়ানো এই ষাঁড়ের তাণ্ডবে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ইতিমধ্যেই বদমেজাজি ষাঁড়ের হামলায় আহত হওয়ার পরে, মৃত্যু হয়েছে এক জনের। মাসখানেকের মধ্যে জখম হয়েছেন অন্তত পাঁচ জন।
বাসিন্দারা জানান, কালনা শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কয়েকটি ষাঁড় রয়েছে। অনেক দোকানদার সেগুলিকে কলা, মুলো দেয়। ডাস্টবিনে ঘেঁটেও খাবার জোগাড় করে ষাঁড়গুলি। সম্প্রতি সেগুলির মধ্যেই একটি হামলা চালানো শুরু করেছে। আচমকা তেড়ে এসে শিং দিয়ে গুঁতো মারছে সেটি। অনেক ক্ষেত্রে কিছু বোঝার আগেই পথচলতি মানুষ জখম হচ্ছেন। হামলা চালিয়েই পালিয়ে যাচ্ছে বিশালাকার ষাঁড়টি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সেনপাড়া এলাকায় সম্প্রতি এক বৃদ্ধ সকালে ফুল তুলতে যাওয়ার সময়ে ওই ষাঁড়ের মুখে পড়েন। আচমকা আক্রমণে মাথায় মারাত্মক চোট পান তিনি। কয়েকদিন পরে তাঁর মৃত্যু হয়। পঞ্চমীর দিন বিকেলে কালনার ১০৮ শিবমন্দির চত্বরে স্যানিটাইজ়ার কিনছিলেন মনোরঞ্জন সাহা নামে এক ব্যক্তি। তাঁর উপরেও পিছন থেকে হামলা চালায় ষাঁড়টি। মনোরঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘আমাকে শিং দিয়ে শূন্যে তুলে ছুড়ে দেয় ষাঁড়টি। আছড়ে পড়ে মাথা-সহ নানা জায়গায় আঘাত পাই। এখনও চিকিৎসা চলছে।’’ তিনি জানান, ষাঁড়টির হামলায় তাঁর মতো অনেকেই জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বারুইপাড়া এলাকার এক মহিলা ষাঁড়ের গুঁতোয় পেটে ভাল আঘাত পেয়েছেন।
কালনার টোটো চালক রতন সাহার দাবি, মেজাজ বিগড়ে গেলে ষাঁড়টি শুধু পথচারী নয়, টোটো-মোটরবাইকের উপরেও আক্রমণ করছে। তাতে তাঁরা আতঙ্কিত। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ষাঁড়টিকে ধরে কোনও ব্যবস্থা না নিলে এলাকায় আরও অনেকে আহত হতে পারেন। কালনা পুরসভার প্রশাসক দেবপ্রসাদ বাগের আশ্বাস, ‘‘আমরা ষাঁড়টিকে চিহ্নিত করেছি। দ্রুত সেটিকে ধরার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy