Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

ক্যানসার নিরাময়ে নতুন যন্ত্র

ক্যানসার চিকিৎসার জন্য প্রায় বছর তিনেক আগে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ব্রাকিথেরাপি’ যন্ত্র এসেছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

সৌমেন দত্ত
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫৫
Share: Save:

ক্যানসার চিকিৎসার জন্য প্রায় বছর তিনেক আগে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ব্রাকিথেরাপি’ যন্ত্র এসেছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার আসানসোল পুলিশ লাইনের প্রশাসনিক সভা থেকে জেলা ভাগের সঙ্গে সঙ্গে ওই যন্ত্রটিরও উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তা চালু হতে দু’-তিন মাস সময় লাগবে।

মেডিক্যালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান প্রদীপকুমার মাইতির দাবি, ‘‘কলকাতার বাইরে ক্যানসার চিকিৎসায় আধুনিক যন্ত্র বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। নতুন যন্ত্র বসানোয় বাঁকুড়া ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল থেকেও ক্যানসার-রোগীরা আমাদের এখানে আসবেন।’’ হাসপাতালের কর্তাদের দাবি, এত দিন ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের ‘টেলিথেরাপি’র পরে কলকাতায় স্থানান্তিরত করা হতো। এ বার থেকে ক্যানসারের সম্পূর্ণ চিকিৎসা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই করা সম্ভব হবে বলে দাবি চিকিৎসকদের।

চিকিৎসকেরা জানান, জরায়ুর মুখে ও জরায়ুতে এবং স্তন ক্যানসার-সহ মোট পাঁচ ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসা ব্রাকিথেরাপির মাধ্যমে হয়। এর অর্থ, ক্যানসার সেলকে নির্ণয় করে একদম কাছ থেকে ‘রে’ দেওয়া। এর ফলে নির্দিষ্ট কোষকেই নষ্ট করে দেওয়া যাবে। তাতে অন্য কোষগুলির ক্ষতি হবে না। প্রদীপবাবু বলেন, “প্রতি বছর মোট রোগীর ৩৫ শতাংশই জরায়ুর মুখে ও জরায়ুতে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে আমাদের কাছে আসেন। তাঁরাও এর ফলে উপকৃত হবেন।’’

হাসপাতালের এক কর্তা জানান, রেডিওথেরাপি ইউনিটের কোনও যন্ত্র চালাতে ভাবা অ্যাটোমিক রিসার্চ সেন্টারের (বার্ক) অনুমোদন দরকার হয়। ৪ এপ্রিল সেই অনুমোদন চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তা ছাড়া কিছু প্রযুক্তিগত কাজ বাকি রয়েছে। যন্ত্র চালানোর জন্য দরকারি তেজস্ক্রিয় পদার্থও আনতে হয় বার্ক থেকে। তা দীর্ঘ দিন ধরে নানা কারণে আনা সম্ভব হয়নি। মাত্র মাস তিনেক আগে তা এসেছে বর্ধমানে। কর্তাদের আশা, নতুন যন্ত্রটির মাধ্যমে বছরে প্রায় এক হাজার রোগী পরিষেবা পাবেন।

অন্য বিষয়গুলি:

New Machine Burdwan Medical Cancer
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE