চলন্ত ট্রেনে মহিলা কামরায় উঠে এক ছাত্রীর মোবাইল ছিনিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠল বর্ধমানে। বাধা দিলে দুষ্কৃতী ছাত্রীর হাতে ব্লেডও চালায় বলে অভিযোগ। শুক্রবার সন্ধ্যায় আপ ময়ূরাক্ষী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার বর্ধমান স্টেশন ছাড়ার পরেই ঘটনাটি ঘটে। অন্ডালে বাড়ি পৌঁছে ছাত্রীটি রেলপুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শীর্ষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি অন্ডালের খান্দরায়। তিনি জানান, শুক্রবার বাড়ি ফেরার জন্য ওই ট্রেনের মহিলা কামরায় ওঠেন। বসেছিলেন দরজার কাছে আসনে। তিনি অভিযোগ করেন, ট্রেনে দরজার সামনে দাঁড়িয়েছিল এক যুবক। বর্ধমান স্টেশন ছাড়ার পরেই সে তাঁর হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ধরে টান দেয়। তিনি সেটি আঁকড়ে ধরায় হাতে ব্লেড চালায়। শীর্ষার কথায়, ‘‘ভয়ে ফোন ছেড়ে দিই। সেটি নিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালায় ওই দুষ্কৃতী।’’
ওই ছাত্রী জানান, এর পরে সহযাত্রীরা চেন টেনে ট্রেন থামান। ইতিমধ্যে চেঁচামেচিতে পাশের কামরায় থাকা এক আরপিএফ কর্মী চলে আসেন। তিনি তাঁকে বর্ধমান স্টেশনে গিয়ে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু আতঙ্কে ভুগতে থাকায় তিনি তা না করে অন্ডালে পৌঁছে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেন বলে শীর্ষা জানান।
ছাত্রীর বাবা দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সন্ধ্যায় রেলপুলিশের তরফে তাঁকে ফোন করে ট্রেনে মেয়ে দুষ্কৃতীর হাতে আক্রান্ত হয়েছেন জানিয়ে স্টেশনে আসতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘স্টেশনে গিয়ে দেখি, মেয়ে অচেতন হয়ে পড়েছে। রেলপুলিশ এক চিকিৎসককে এনেছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে মেয়ে খানিক সুস্থ হলে বাড়ি নিয়ে আসি।’’ শনিবার সকালে স্টেশনে গিয়ে রেলপুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তাঁরা। শীর্ষার মা শর্মিষ্ঠাদেবী বলেন, ‘‘কামরায় তখন কোনও রক্ষী ছিল না। থাকলে হয়তো এমন ঘটত না। মেয়ে আতঙ্কে আছে।’’
অন্ডাল রেলপুলিশের আধিকারিক প্রীতম দাস বলেন, ‘‘ঘটনাটি বর্ধমানের কাছে ঘটেছে। সেখানকার রেলপুলিশের কাছে পাঠিয়ে অভিযোগটি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আমরাও তদন্ত করছি।’’ রেলের আসানসোল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক রূপায়ণ মিত্রেরও বক্তব্য, ‘‘ঘটনাটি যে ডিভিশনে ঘটেছে সেখানে জানানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy