এই জমিতেই হবে হাব। ছবি: উদিত সিংহ।
‘ওখানে পরব হয়’— মাসখানেক আগে এই যুক্তিতে জমি দেওয়ার ব্যাপারে গররাজি ছিলেন আদিবাসীরা। প্রশাসনও কোনও জোরাজুরি করেনি। কিন্তু কর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পরে সেই খাস জমিই ছেড়ে দিতে রাজি হয়ে গেলেন আদিবাসীরা। আর তার পরে ‘মিষ্টি বাংলা হাব’ তৈরির জন্য উল্লাস মোড়ের পরিবর্তে বর্ধমানের বামচাঁদাইপুরের জমিকেই চূড়ান্ত করলেন প্রশাসনের কর্তারা।
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া বামচাঁদাইপুর মৌজার অন্তর্গত অনাময় হাসপাতাল ও পেট্রোল পাম্পের মাঝে দেড় বিঘের একটু বেশি জমিতেই গড়ে উঠবে হাব। শনিবার জমি পরিদর্শনে যান জেলাশাসক ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু। সেখানে দাঁড়িয়েই সৌমিত্রবাবু বলেন, ‘‘আগামী ৫ সেপ্টেম্বর জমি জরিপের কাজ শুরু হবে। ৬ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক শিলান্যাস ও নির্মাণকাজ শুরু হবে।’’
এই জমি বাছাই করা হলেও প্রথম দিকে আদিবাসীদের বাধার মুখে পড়তে হয় প্রশাসনকে। গত ১৬ জুন জেলাশাসক বিভিন্ন জায়গায় চিঠি দিয়ে জানান, বামচাঁদাইপুরে ‘হাব’ হতে চলেছে। প্রশাসনের সূত্রে খবর, তার পরেই ওই জমিতে চাষবাস শুরু করেন আদিবাসীরা। গজিয়ে ওঠে ক্লাব। গত ৩১ জুলাই প্রশাসনের কর্তারা জমি দখলমুক্ত করতে গেল আদিবাসীদের বাধায় ফিরে আসতে বাধ্য হন।
পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো উল্লাস মোড়ের বিকল্প জায়গা হিসেবে এই জমিটির দিকেই ফের নজর পড়ে প্রশাসনের কর্তাদের। আদিবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করতে আসরে নামেন দেবুবাবু। প্রশাসন সূত্রে খবর, আদিবাসীদের বিকল্প খাস জমি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। দেবুবাবু এ দিন বলেন, ‘‘উন্নয়নের স্বার্থে ওঁরা জমিটি ছেড়ে দেবেন।’’ এলাকার বাসিন্দা বাবু মান্ডি, ভোলা মালতি, রবি মান্ডিরা বলেন, ‘‘তিন দশক ধরে ওই জমিতে ‘পরব’ করি আমরা। তাই প্রথমে আপত্তি জানিয়েছিলাম। পরে উন্নয়ন ও কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জানার পরে আর আপত্তি করিনি।’’ এ দিন জমি পরিদর্শনে যান বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা সৌমেন দাস ও প্রমোদ সিংহরাও। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘অনেক টালবাহানার পরে জায়গা মিলেছে। দ্রুত হাব তৈরি হোক।’’
প্রশাসনের সূত্রে খবর, ওই জামি ছাড়াও শক্তিগড়ের কাছে আমড়ায় দু’বিঘে খাস জমি এবং দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বামচাঁদাইপুর গ্রামে যাওয়ার রাস্তার ধারের জমিতেও হাবের একাংশ তৈরি হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy