Advertisement
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
Bardhaman Murder Case

বন্ধুর স্ত্রীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মদের আসরে বন্ধুকে খুন! যুবককে যাবজ্জীবন সাজা দিল বর্ধমান আদালত

মৃতের ডান হাতের কব্জির উপরে উল্কিতে লেখা ছিল ‘তাপসী’। সেখান থেকে পুলিশ জানতে পারে, দেহটি গোঘাট থানা এলাকার পানপাতা গ্রামের বাসিন্দা খোকন মাঝির।

lifetime sentence

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:০০
Share: Save:

প্রেমে বাধা পেয়ে প্রেমিকার স্বামী তথা বন্ধুকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিলেন যুবক। সাত বছর আগের সেই খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলেন তিনি। শুক্রবার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে বর্ধমান আদালত। সেই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছ’মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক।

সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম বাপ্পাদিত্য পান। তাঁর বাড়ি হুগলির গোঘাট থানার বেলুন গ্রামে। বাপ্পাদিত্যের শাস্তি প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী উদয় কোনার জানান, ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর সকালে মাধবডিহি থানার নন্দনপুর ঢালে নয়ানজুলির পাশ থেকে এক ব্যক্তির বস্তাবন্দি পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতের ডান হাতের কব্জির উপরে উল্কিতে লেখা ছিল ‘তাপসী’। সেখান থেকে পুলিশ জানতে পারে, দেহটি গোঘাট থানা এলাকার পানপাতা গ্রামের বাসিন্দা খোকন মাঝির।

৩৬ বছরের খোকনের স্ত্রীর নাম তাপসী। পেশায় দিনমজুর ছিলেন খোকন। স্ত্রী এবং দুই নাবালিকা সন্তানকে নিয়ে তাঁর সংসার। তাঁকে কেউ কেন খুন করতে যাবেন? তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে খোকন এবং বাপ্পাদিত্যের সুসম্পর্কের কথা। দু’জনের দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্ব ছিল। দু’জনেরই পরস্পরের বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল। কিন্তু খোকনের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বাপ্পাদিত্য। স্ত্রী এবং বন্ধুর ঘনিষ্ঠতার কথা জানতে পেরে প্রতিবাদ করেন খোকন। তার পর থেকে শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি।

২০১৭ সালের দুর্গাপুজোর দশমীর দিন খোকনের বাড়িতে আড্ডা বসে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাপ্পাদিত্যও। কথায় কথায় তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বাপ্পাকে খোঁচা দেন খোকন। শুরু হয় দুই বন্ধুর ঝগড়া এবং মারামারি। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে, খোকনকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন বাপ্পা। তার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহটি বস্তায় পুরে সাইকেলে চাপিয়ে নন্দনপুর ঢালে নয়নজুলির কাছে গিয়ে ফেলে দেন। সেই। গামছা এবং সাইকেলটি উদ্ধার করেছিল পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছিলেন বাপ্পা এবং তাপসী। তবে খুনের ঘটনায় মৃতের স্ত্রীর জড়িত থাকার কোনও তথ্যপ্রমাণ পায়নি আদালত। তাই তাঁকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেন বিচারক। তবে বাপ্পাদিত্যের আইনজীবী জানিয়েছেন, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন তাঁরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Lifetime Sentence Bardhaman court Purba Bardhaman Extra Marital Affair Murder Case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy