—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যোগ রয়েছে, এই সন্দেহ হুগলির আরামবাগের এনআইএ। বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা আরামবাগের মায়াপুরের সানাপাড়া এলাকায় গিয়েছিল এক যুবকের খোঁজে। কিন্তু ওই যুবককে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে শুক্রবার ওই যুবক তাঁরা বাবাকে নিয়ে তদন্তকারীদের কাছে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, যে বাড়িতে এনআইএ হানা দিয়েছিল, সেই বাড়ির মালিকের নাম শেখ সইফুদ্দিন আলি। তাঁর ছেলে শেখ সাবিরউদ্দিন আলির খোঁজ করছেন এনআইএ-র গোয়েন্দারা। সাবিরের পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে এনআইএ-এর একটি দল হঠাৎই তাদের বাড়িতে হানা দেয়। সে সময় সাবির অবশ্য বাড়িতে ছিলেন না। তবে বেশ কিছু ক্ষণ তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চলে। একটি ল্যাপটপ এবং নগদ টাকা উদ্ধার হয় সাবিরের ঘর থেকে। তল্লাশির পরে ওই বাড়িতে একটি নোটিস দিয়ে যান গোয়েন্দার। তাতে লেখা, যেন শীঘ্রই হাজিরা দেন যুবক।
পরিবার সূত্রে খবর, তদন্তকারীদের ডাকে শুক্রবার সকালে বাবার সঙ্গে কলকাতায় গিয়েছিলেন সাবির। যদিও তার পরেও খবর জানা যায়নি। এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সাবির উচ্চশিক্ষিত এবং ‘ভাল ছেলে’। তিনি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। সম্প্রতি বিএড করেছেন। কোনও জঙ্গি কার্যকলাপে তিনি যুক্ত থাকতে পারেন, তা ভাবতেই পারছেন না প্রতিবেশীরা।
সাবিরদের পারিবারিক আর্থিক পরিস্থিতি ভাল নয়। ভাঙা মাটির বাড়ি। দিন আনা দিন খাওয়া ওই পরিবারের মূল উপার্জন চাষবাস থেকে। সাবিরের মা নাসিমা বেগম বলেন, ‘‘ছেলে বাড়িতেই থাকত। মাঝে কিছু দিন হাওড়ায় কম্পিউটার শিখতে যেত। ও কারও সঙ্গে ফোনে কিছু ‘চ্যাট’ করেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। এর বেশি কিছু জানি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy