Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Quarantine

তেরো বছর পরে বাবার খোঁজ

সদানন্দবাবু বলেন, ‘‘পারিবারিক অশান্তির জেরেই ঘর ছেড়েছিল বাবা। বহু খুঁজেও খবর পাইনি। আশা করছি সুস্থ অবস্থায় বাবাকে নিয়ে ফিরতে পারব এ বার।’’

মুখোমুখি দু’জনে। নিজস্ব চিত্র

মুখোমুখি দু’জনে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মন্তেশ্বর শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২০ ০৩:৪৪
Share: Save:

গঙ্গাস্নানে যাওয়ার নাম করে বাড়ি ছেড়েছিলেন বাবা। বহু খুঁজেও তাঁর সন্ধান পাননি নদিয়ার শান্তিপুর এলাকার বাসিন্দা সদানন্দ বসাক। অবশেষে ১৩ বছর পরে মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম কিসাম মান্ডিতে মুখোমুখি হলেন দু’জন। তবে ওই বৃদ্ধ রাধারমণ বসাক কোয়রান্টিনে থাকায় এ দিন ছেলের সঙ্গে বাড়ি ফিরতে পারেননি।

সদানন্দবাবু বলেন, ‘‘পারিবারিক অশান্তির জেরেই ঘর ছেড়েছিল বাবা। বহু খুঁজেও খবর পাইনি। আশা করছি সুস্থ অবস্থায় বাবাকে নিয়ে ফিরতে পারব এ বার।’’

মন্তেশ্বরের বিডিও বিপ্লবকুমার দত্ত জানান, বাবা-ছেলের মিলনপর্বটা খুব একটা সহজ ছিল না। গত ২৮ এপ্রিল কুসুমগ্রামের এক বিশ্রামকক্ষে আশ্রয় নেওয়া অসুস্থ রাধারমণবাবুকে উদ্ধার করে মন্তেশ্বর কাদম্বিনী ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন বিডিও নিজেই। সেই সময়ে ওই বৃদ্ধ জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ি কালনার নিভুজি এলাকায়। মন্তেশ্বর ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে কালনা ব্লকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে ওই নামে কোনও ব্যক্তির সন্ধান মেলেনি। ব্লক প্রশাসনের দাবি, পরিবারের উপরে রাগ থেকেই বারবার ভুল ঠিকানা দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন রাধারমণবাবু। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর ব্যাগ ঘেঁটে একটি পরিচয়পত্র মেলে। সেই নাম-ঠিকানা ধরেই খোঁজ শুরু হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সন্ধান করা হয়। শেষমেশ, শান্তিপুর এলাকার এক সাংবাদিকের সহযোগিতায় রাধারমণবাবুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়।

এ দিন ছেলেকে দেখেও প্রথমে কথা বলতে চাননি ওই বৃদ্ধ। কিছু ক্ষণ পরে বাবা-ছেলের মধ্যে বরফ গলে। একে অপরের খোঁজখবর নেন তাঁরা। বিডিও বলেন, ‘‘বাবা-ছেলের সাক্ষাৎ করাতে পেরে ভাল লাগছে। রাধারমণবাবুর পুরনো রাগ সম্ভবত মিটেছে। কোয়রান্টিন পর্ব পেরিয়ে গেলে ওঁর ছেলে এসে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন ওঁকে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Quarantine Manteswar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy