গ্রামীণ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়া ১০ লক্ষ টাকা এবং জাল নথিপত্র তৈরি করে বন্ধক রাখা সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতের নাম আলাপন মিত্র ওরফে বাবু। শক্তিগড় থানার নান্দড়ায় তাঁর বাড়ি। শুক্রবার সকালে বর্ধমান শহরের বাদামতলা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে শুক্রবারই বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। জাল নথিপত্র এবং হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধার করতে ও বাকি জড়িতদের হদিস পেতে ধৃতকে সাত দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। ধৃতকে তিন দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
পুলিশ জানিয়েছে, আলাপনের মার্বেলের ব্যবসা রয়েছে। ব্যবসা বাড়ানোর কথা জানিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্কের বর্ধমান শাখা থেকে ১০ লক্ষ টাকা ক্যাশ ক্রেডিট লোনের জন্য আবেদন করেন। লোন পেতে একটি জমি বন্ধ রাখার কথা জানান তিনি। আবেদন এবং অন্যান্য নথিপত্র পরীক্ষা করার পর ২০২২ সালের জুন মাসে তাঁকে ১০ লক্ষ টাকা ক্যাশ ক্রেডিট লোন মঞ্জুর করেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। লোনের গ্যারান্টার হন অন্য একজন। আলাপন তাঁর জমি বন্ধক রাখেন। গ্যারান্টারের জমির কথাও ঋণের আবেদনে উল্লেখ করা হয়। ঋণ নেওয়ার পর দীর্ঘ দিন তা পরিশোধ করেননি আলাপন। এ নিয়ে ব্যাঙ্কের তরফে তাঁকে বার বার তাগাদা দেওয়া হয়। দীর্ঘ দিন ঋণ পরিশোধ না করায় তা অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়। এর পরেই বন্ধক রাখা সম্পত্তি ক্রোক করার প্রক্রিয়া শুরু করেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ব্যাঙ্কের তরফে এ নিয়ে ঋণগ্রহীতা ও গ্যারান্টারকে চিঠি দেওয়া হয়। পরে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ নথিপত্র নিয়ে বন্ধক রাখা সম্পত্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারে, জাল কাগজপত্র তৈরি করে তা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এর পরেই ব্যাঙ্কের তরফে ঋণগ্রহীতা ও গ্যারান্টারের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে জাল নথিপত্র তৈরি করে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু করে থানা।