প্রতীকী ছবি
গুদাম থেকে দাদার দোকানের একগুচ্ছ বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম চুরি গিয়েছিল বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মেমারির ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা সৈয়দ ইউসুফ আলি। বিমার টাকা পাওয়ার জন্য গুদামে রাখা বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম চুরিতে কর্মচারীকে কাজে লাগিয়েছিলেন দোকানের মালিক সৈয়দ ইদ্রিস আলি, তদন্তে এমন তথ্য মিলেছে বলে দাবি পুলিশের।
ইউসুফ আলি মঙ্গলবার অভিযোগ করেন, তাঁর দাদার মেমারির নিউমার্কেটের দোতলায় একটি বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের দোকান রয়েছে। দোকানের মাল মজুত করার জন্য হাসপাতাল পাড়ায় গুদাম রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ তাঁর দাদা গুদামে গিয়ে দেখেন, দরজার তালা ভাঙা। ভিতরে থাকা বেশ কিছু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম চুরি হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই মেমারি থানার পুলিশ দোকানের কর্মী, বিজরা গ্রামের বাসিন্দা শেখ ইয়াজুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশের দাবি, টানা জিজ্ঞাসাবাদে ওই কর্মী তাদের জানান, দোকানের মালিকের কথামতো সরঞ্জাম ‘চুরি’ করা হয়েছিল। এর পরেই পুলিশ দোকানের মালিক ইদ্রিস আলিকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে, ব্যবসা করতে গিয়ে ইদ্রিস আলির বাজারে ১৭ লক্ষ টাকা দেনা হয়ে গিয়েছে। পাওনাদারদের তাগাদায় তাঁর দোকানে যাওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছিল। গুদামে ওই সব সরঞ্জামের উপরে ১৫ লক্ষ টাকা বিমা ছিল। তিনি ভেবেছিলেন, ‘চুরি’ প্রমাণ করতে পারলেই বিমার টাকা পাওয়া যাবে। তাতে দেনা শোধ হয়ে যাবে। কিন্তু সেই ‘পরিকল্পনা’ ভেস্তে গিয়েছে, দাবি পুলিশের।
ধৃতকে আদালতে তুলে তদন্তকারী অফিসার সাত দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর আর্জি জানান। কিন্তু ধৃতের আইনজীবীরা আদালতকে জানান, ওই দোকান ও গুদামের মালিক ইদ্রিস। তাঁর দোকান থেকে চুরি হল, অথচ তিনি কোনও অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করেছিলেন তাঁর ভাই। দাদার দোকান থেকে কী কী চুরি গিয়েছে, তা তিনি জানলেন কী ভাবে, এই প্রশ্ন তুলে আইনজীবীদের দাবি, অভিযোগটিই ঠিক নয়।
আইনজীবীদের আরও দাবি, আদালত মালিকানার নথি নিয়ে তদন্তকারী অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তদন্তকারী অফিসারও জানান, মামলার নথিতে দোকান ও গুদামের মালিকের নাম ইদ্রিস আলি রয়েছে। এর পরে আদালত জানায়, মিথ্যা অভিযোগ করলে অন্য ধারায় মামলা করা যেতে পারত। সপ্তাহে দু’দিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরার শর্তে ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy